ধর্ষণে অভিযুক্ত জওয়ানদের ধরতে না পারা ও প্রতিবাদকারীদের উপরে পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে আজ কার্বি আংলং জেলায় বন্ধ পালিত হল। বিভিন্ন সংগঠন মিলিতভাবে এই বন্ধের ডাক দেয়। বন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সেনাবাহিনীর কাছে অভিযুক্ত জওয়ানদের ব্যাপারে তথ্য চাইলেও সেনাবাহিনী কোনও তথ্য দেয়নি।
বুধবার ডকমকা থানায় খরিসিং আথর গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ জানান, সোমবার সেনাবাহিনীর আট উর্দিধারী জওয়ান জঙ্গি অভিযানের নামে গ্রামে হানা দেয়। পুরুষদের ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে গ্রামের এক ১৩ বছর বয়সী কিশোরী, তার মা ও অন্য এক মহিলার উপরে যৌন নিগ্রহ চালায় ওই জওয়ানরা।
কিন্তু অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত কাল কার্বি মহিলা সংগঠন, কার্বি ছাত্র সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠন সেনা শিবির ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে দুই তরফেই অনেকে জখম হন। এদের মধ্যে এক যুবক ও এক কিশোরী গুলিবিদ্ধ হন। রাতেই তাঁদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। জখম পুলিশকর্মীর মধ্যে একজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। এসপি মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত বলেন, ‘‘পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েছে। জনতাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে রবার বুলেট। ওই দু’জনের শরীরেও সম্ভবত রবার বুলেটই প্রবেশ করেছে। কারণ গুলি বেরিয়ে যাওয়ার কোনও চিহ্ন তাঁদের শরীরে নেই। এসপি জানান, ‘‘আজ ওই কিশোরী ও দুই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। আদালতে জমা দেওয়ার আগে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না। সেনাবাহিনীকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের শনাক্ত করার আবেদন করা হলেও, সেনাবাহিনী এ নিয়ে এখনও পুলিশকে কোনও রিপোর্ট দেয়নি।’’ তবে মহন্ত বলেন, তদন্ত এগিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সব প্রকাশ পাবে।
ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে ডিএসপি এস সিংসনের নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত দল গড়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সোনমিলি টেরাংপিকে ঘটনার প্রশাসনিক তদন্ত চালাবার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy