নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ। ছবি: এএফপি।
পুণে থেকে মহারাষ্ট্রের মুরুদ সৈকতে পিকনিক করতে গিয়েছিল দেড়শো কলেজ পড়ুয়ার একটি দল। দুপুরের দিকে সাঁতার কাটতে দল বেঁধে জলে নেমেছিলেন তাঁদেরই ১৮ জন। হঠাৎ ভাটার টানে আরব সাগরে তলিয়ে গেলেন ১৪ পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ১০ জন ছাত্রী। এখনও নিখোঁজ ১০- ১২ জন। ফলে সময়ের সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
মুম্বইয়ের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই মুরুদ সৈকত। সোমবার সকালে পুণের আবেদা ইনামদার কলেজের ১৫৫ জন পড়ুয়া তিনটি বাসে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। উপলক্ষ, কলেজের বার্ষিক পিকনিক। রায়গড়া পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। জলে সাঁতার কাটতে নেমে ভেসে যান ১৪ জন। মৃতদের বয়স ১৯ থেকে ২৩-এর মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ছাত্রী এবং ৩ ছাত্র রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য ওই সৈকতটিতে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল না।
দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধার কাজ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। নিখোঁজদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে সেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী। জলে তল্লাশি চালাচ্ছে স্পিড বোট, পুলিশের ডুবুরি। কলেজ সূত্রে খবর, সোমবার রায়গড়ায় পিকনিকে গিয়েছিলেন কলেজের বিএসসি এবং বিসিএ-র প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। দলে ছিলেন ১০ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীও। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কলেজ থেকে দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হয়ে গিয়েছে একটি দল। মৃতদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। যোগাযোগ করা হচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গেও।
২০১৪ সালে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে বিপাশা নদীতে তলিয়ে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের একটি কলেজের ২৪ পড়ুয়া। দু’বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে দিল এ দিনের দুর্ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy