Advertisement
E-Paper

চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ছাত্রীই ধৃত

গ্রেফতারির আশঙ্কা অবশ্য ছিলই। ক’দিন আগেই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মেয়েটি আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৪
শারীরিক পরীক্ষার পরে হাসপাতাল থেকে বেরোচ্ছেন ধৃত ছাত্রী। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

শারীরিক পরীক্ষার পরে হাসপাতাল থেকে বেরোচ্ছেন ধৃত ছাত্রী। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

তোলাবাজির মামলায় তাঁকে গ্রেফতারই করল বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা সেই আইনের ছাত্রীকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। এ দিন সকালে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারির আশঙ্কা অবশ্য ছিলই। ক’দিন আগেই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মেয়েটি আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। তা খারিজ করে হাইকোর্ট বলে, এই বেঞ্চ ওই আবেদন শুনবে না। অন্য আদালতে যেতে হবে। মেয়েটি নিম্ন আদালতে যান। নিম্ন আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করে। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার তার শুনানি হওয়ার কথা। তার আগেই আজ গ্রেফতার হলেন তরুণী। বিরোধীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শাসক শিবিরের কারও প্রতি আঙুল উঠলেই পুলিশ অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিজেপির তরফে এ দিন আবার এমনও বলা হয়েছে যে, চিন্ময়ানন্দ দলের কেউ নয়!

শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ওই আইনের ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, মাসের পর মাস তাঁকে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা করেছেন চিন্ময়ানন্দ। ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে চিন্ময়ানন্দর আইনজীবী পাল্টা অভিযোগ আনেন, ওই ছাত্রী পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন চিন্ময়ানন্দকে। সেই অভিযোগে ছাত্রীকে গ্রেফতার করে সিট। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়েছিল ওই ছাত্রীর বাড়ির চারপাশ। সিট প্রধান নবীন অরোরার দাবি, ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ফরেন্সিক এবং ডিজিটাল প্রমাণ রয়েছে। তা ছাড়া, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও ওই ছাত্ররী বিরুদ্ধে গিয়েছে। টাকা চাওয়ার কথা ছাত্রীটি স্বীকারও করেছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

এই ঘটনায় তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগে ছাত্রীটির তিন বন্ধুকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একই দিনে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ানন্দকেও। যদিও তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগ না এনে ওই নেতার বিরুদ্ধে অনেক লঘু অভিযোগ আনা হয়েছে যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল।

ছাত্রীটির তিন বন্ধুর জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন এখন সিটের হেফাজতে রয়েছেন। গত সোমবার আদালত চিন্ময়ানন্দের জামিনের আর্জিও খারিজ করেছে। বুকে ব্যথার জন্য তিনি আপাতত হাসপাতালে ভর্তি।

Rape Crime Chinmayananda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy