Advertisement
E-Paper

গুরুদ্বার আছে, তা-ই থাকুক! দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ করে বলল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, যেখানে গুরুদ্বারটি রয়েছে, সেটি একটি ওয়াকফ সম্পত্তি। যদিও অপর পক্ষের দাবি, ১৯৫৩ সালে তিনি জমিটি কিনে নিয়েছিলেন। ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ২০:৩৩
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে গুরুদ্বার তৈরি হওয়া একটি জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওই জমিতে একটি গুরুদ্বার রয়েছে এবং তা-ই থাকুক। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের ওই আর্জি ১৫ বছর আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল হাই কোর্টে। ওই রায়ের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দিল্লির ওয়াকফ বোর্ড। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দিল।

পূর্ব দিল্লির শাহদারা এলাকায় ওই ভবনটি ১৯৪৭-৪৮ সাল থেকে গুরুদ্বার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। তবে ওয়াকফ বোর্ডের দাবি, সেটি একটি ওয়াকফ সম্পত্তি। যদিও অন্য পক্ষের দাবি, সেটি কোনও দিনই ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল না। ১৯৫৩ সালে ওই সম্পত্তির মালিক সেটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাঁর কাছে। সেটি যে ওয়াকফ সম্পত্তি, তা নিয়ে স্পষ্ট প্রমাণ দিল্লি হাই কোর্টে জমা পড়েনি। এই অবস্থায় মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, হাই কোর্ট সেই সময় জানিয়েছিল, “বিবাদী ১৯৪৭-৪৮ সাল থেকে এই সম্পত্তিটি ব্যবহার করছেন বলে স্বীকার করছেন। এটাও সত্য যে তিনি এই সম্পত্তি কিনেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য দলিল দেখাতে পারেননি। তবে এটি কোনও ভাবেই মামলাকারী পক্ষকে সাহায্য করে না। কারণ, ওই সম্পত্তিটি পেতে গেলে তাকেও সেটি প্রমাণ করতে হবে।”

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওয়াকফ বোর্ডের নিজে থেকেই ওই সম্পত্তির উপর দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত ছিল। মামলা খারিজের সময় সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “সেখানে একটি গুরুদ্বার চলছে। যখন সেখানে একটি গুরুদ্বার রয়েছে, তা-ই রাখা হোক। একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। আপনাদের নিজে থেকেই ওই সম্পত্তির দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত ছিল।”

Supreme Court Waqf Board Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy