Advertisement
E-Paper

আবগারি মামলায় জামিন কেসিআর-কন্যা কবিতার, পাঁচ মাস পর জেল থেকে মুক্তি!

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে কবিতার জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বেঞ্চ, ইডি এবং সিবিআইকে প্রশ্ন করে, আবগারি মামলায় যে কবিতা জড়িত ছিলেন, তা প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে কী ‘তথ্য’ রয়েছে?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৫৪
Supreme Court grants bail to K Kavitha in Delhi excise policy case

কে কবিতা। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির আবগারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, পরে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয় তাঁকে। মঙ্গলবার ইডি এবং সিবিআই, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলায় জামিন পেলেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে কবিতার জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বেঞ্চ, ইডি এবং সিবিআইকে প্রশ্ন করে, আবগারি মামলায় যে কবিতা জড়িত ছিলেন, তা প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে কী ‘তথ্য’ রয়েছে? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে জানান, কবিতা নিজের মোবাইল ফোন ফরম্যাট করেছিলেন। এ ভাবে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী রাজু। যদিও সেই অভিযোগ ‘ভুয়ো’ বলে আদালতে জানিয়েছেন কবিতার আইনজীবী মুকুল রোহতগি।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আবগারি মামলায় যা প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে তা থেকে মনে হয় না কবিতাকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন আছে। জামিনের পক্ষে মুকুলের সওয়াল, কবিতা এক জন প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর পালানোর কোনও সুযোগ নেই।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। গত ডিসেম্বরে মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, তখনই তারা জানতে পারে, এই মামলায় যুক্ত কবিতা। এই মামলায় ইডি দাবি করেছিল, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন কবিতা। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি।

দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন কবিতা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। গত ১২ অগস্ট শীর্ষ আদালত ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে কবিতার জামিনের বিরোধিতা করার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। সম্প্রতি এই মামলায় জামিন পেয়েছেন মণীশ। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই জামিনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন কবিতার আইনজীবী। শুনানি শেষে চন্দ্রশেখর-কন্যার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।

Delhi liquor policy case K Kavitha Bail Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy