২০২০ সালে দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত উমর খালিদ এবং শারজিল ইমামদের জামিনের আর্জি মামলায় অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত পাঁচ বছর ধরে জেলবন্দি উমর-শারজিলদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। উমর, শারজিল ছাড়াও জামিনের আর্জি জানিয়েছেন মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শিফা উর রহমান। শীর্ষ আদালতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র উমরের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আর ফাতিমার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এএম সিঙ্ঘভি।
সোমবার শুনানিতে ধৃতদের অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন করেন সিঙ্ঘভি। আদালত জানায়, তারা এ বার আসল জামিনের মামলারই নিষ্পত্তি করবে। দীপাবলির আগেই যাতে ধৃতদের জেলমুক্তি ঘটতে পারে, তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সিব্বল। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই থেকে তিনি জেলে আছেন।
দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল, হিংসার ঘটনায় ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ উমর। ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতা করার অভিযোগে জেএনইউয়ের প্রাক্তন এই গবেষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন উমর। সেখানে আর্জি খারিজ হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। উমরের মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র। পরে উমর নিজেই শীর্ষ আদালত থেকে জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে দিল্লির করকরডুমা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদন গত বছর খারিজ হয়েছিল। অন্য দিকে, শারজিলের বিরুদ্ধে হিংসাপর্বের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগ রয়েছে।