সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
২৫ বছর বয়সি এক ধর্ষিতার গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে দ্রুত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় গুজরাত হাই কোর্টের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বিচারপতিরা।
ধর্ষিতা যুবতী এখন ২৬ সপ্তাহেরও বেশি সময়ের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে তিনি গুজরাত হাই কোর্টের দরজায় পৌঁছেছিলেন। অগস্টের ৭ তারিখ তাঁর আর্জি পাওয়ার পরদিনই হাই কোর্টে মামলাটি ওঠে। মহিলার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। ধর্ষিতার আইনজীবীর অভিযোগ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়লেও হাই কোর্ট গত ১১ অগস্ট নির্দেশ দেয়, পরের শুনানি ২৩ অগস্টে হবে। এর পরে ওই যুবতী শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে এই মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া আজ সকালে মামলাটি শোনেন। বিচারপতিরা মনে করেছেন, মেডিক্যাল রিপোর্টে অনুকূল পরিস্থিতি থাকলেও গুজরাত হাই কোর্ট মহিলার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। এই রকম একটি মামলায় এত দিন পর শুনানির দিন ধার্য করা হল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি নাগরত্ন। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মামলায় দ্রুত পদক্ষেপ করা জরুরি। ঢিলেমির কোনও জায়গা নেই।’’ ধর্ষিতা, অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর নতুন করে শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামিকালের মধ্যেই রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে। পরের দিনই মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২১ সালের গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে গর্ভপাতের জন্য সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহ সময়সীমার কথা বলা হয়েছে। এই বিশেষ মহিলাদের মধ্যে নাবালিকা, ধর্ষিতাদের কথা রয়েছে।
এ দিকে আজ অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায়, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে সম্মতিতে যৌনতার ক্ষেত্রে অপরাধের বিষয়টি বাদ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy