পথকুকুরদের নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সোমবার শুনতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। ওই দিন শীর্ষ আদালতে যে সব মামলার শুনানি হতে পারে, তার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই পথকুকুরদের মামলাটি রয়েছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। ২২ অগস্টের শুনানিতে আগের রায় স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। এ বার পথকুকুরদের নিয়ে কী বলবে সুপ্রিম কোর্ট, সে দিকে নজর সকলের।
সম্প্রতি দিল্লিতে পথকুকুরের কামড়ের ফলে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে নয়াদিল্লি পুরসভা (এনডিএমসি) এবং দিল্লি পুরসভা (এমসিডি)-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপও করে শীর্ষ আদালত। গত ১১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজধানী নয়াদিল্লি, দিল্লি পুরসভা এবং নয়াদিল্লি পুরসভার প্রশাসনকে দ্রুত সকল এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরানোর কাজ শুরু করতে হবে। অবিলম্বে সমস্ত বেওয়ারিশ কুকুরকে ধরে, জীবাণুমুক্ত করে স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:
২২ অগস্ট আগের রায় বদলে দেয় সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এর আগে দুই বিচারপতির বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত রাখা হয়। পরিবর্তে পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণে জোর দেয় আদালত। জানায়, পথকুকুরদের দিল্লির রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সঠিক পদ্ধতিতে বন্ধ্যাত্বকরণ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ করতে হবে। তার পর আবার যেখান থেকে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের কথা বলেছে আদালত। যে সমস্ত কুকুর র্যাবিস আক্রান্ত বা আগ্রাসী স্বভাবের, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই রেখে দিতে হবে। আর রাস্তায় ফেরানো যাবে না। এ ছাড়া, আদালত রাস্তায় প্রকাশ্যে কুকুরদের খাওয়ানোর অনুমতি দেয়নি। সোমবার শীর্ষ আদালত কী বলে, সে দিকেই নজর।