Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বাড়তি ভাড়ায় সুরক্ষার বিশেষ ট্রেন

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন সীমিত স্টপের বিশেষ ট্রেন দুরন্ত এক্সপ্রেস। প্রযুক্তিপ্রিয় বর্তমান রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও এ বার যাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ মডেল ট্রেন চালু করলেন। নাম রাখা হয়েছে ‘মহামানা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস’।

সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের নতুন মডেল ট্রেন মহামানা এক্সপ্রেস নিয়মিত যাত্রা শুরু করল বারাণসী ও নয়াদিল্লির মধ্যে। (ইনসেটে) ট্রেনটির সুসজ্জিত কামরা।

সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের নতুন মডেল ট্রেন মহামানা এক্সপ্রেস নিয়মিত যাত্রা শুরু করল বারাণসী ও নয়াদিল্লির মধ্যে। (ইনসেটে) ট্রেনটির সুসজ্জিত কামরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:২১
Share: Save:

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন সীমিত স্টপের বিশেষ ট্রেন দুরন্ত এক্সপ্রেস। প্রযুক্তিপ্রিয় বর্তমান রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও এ বার যাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ মডেল ট্রেন চালু করলেন। নাম রাখা হয়েছে ‘মহামানা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস’। সোমবার ট্রেনটি বারাণসী থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছে। বিশেষ সুযোগ-সুবিধার এই বিশেষ ট্রেনে চড়তে হলে ১৫ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হবে।

প্রশ্ন উঠছে, আবার একটি বিশেষ মডেল বা আদর্শ ট্রেন কেন?

রেল বোর্ডের কর্তারা জানাচ্ছেন, মাহামানা এক্সপ্রেসের কামরাগুলি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ভাবে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। আপাতত ১০-১২ বছরের পুরনো কামরার শুধু ইস্পাতের খাঁচাটুকু রেখে বাকিটা ফেলে দিয়ে ভোপালে রেলের নিজস্ব কারখানায় ঢেলে সাজা হয়েছে প্রায় পুরোটাই। আপাতত এই ট্রেনটিকে ‘বিশেষ’ তকমা দেওয়া হলেও এটিকে মডেল বা আদর্শ বলার পৃথক কারণ আছে। মহামানাকে যে-ভাবে তৈরি করা হয়েছে, আগামী দিনে রেলের সব কামরাই তৈরি হবে সেই ধাঁচে। তাই মহামানা আগামী দিনের আদর্শ। রেল সূত্রের বক্তব্য, আদর্শ সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বন্দোবস্ত যে শুধু ওই নতুন ট্রেনেই করা হচ্ছে না, অন্যান্য ট্রেনের জন্যও সেই ভাবনা আছে— এই ইঙ্গিতটা দিয়ে রাখছেন প্রভু।

নতুন বা বিশেষ কী এমন ব্যবস্থা থাকছে মহামানার কামরায়?

বাতানুকূল ও সাধারণ কামরায় সবই এলইডি আলো। l কামরার ভিতরের অগ্নি নিরোধক সুদৃশ্য দেওয়াল, যার রং দূষণ ছড়ায় না। l বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে শারীরবিজ্ঞান মেনে বসা ও শোয়ার আসন তৈরি করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা কোনও রকম ক্লান্তি অনুভব না-করেন। l সুদৃশ্য বায়ো টয়লেট বা জৈব শৌচাগার। l শব্দদূষণহীন পরিবেশ। l কামরার ভিতরে বাড়তি জায়গা। l মোবাইল, অতিরিক্ত মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জিং পয়েন্ট। l অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। l প্যান্ট্রিকারে চিমনি। l মালপত্র রাখার জন্য ইস্পাতের আলাদা খাঁচা ইত্যাদি।

রেল সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রিমোট কন্ট্রোলে মহামানা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রেনটির বাণিজ্যিক দৌড় শুরু হয়েছে সোমবার। আপাতত ওই ট্রেনের জন্য ১০টি কামরা তৈরি করা হয়েছে। কিছু দিন মহামানাকে পরীক্ষামূলক ভাবে চালিয়ে সব ট্রেনেই এই ধরনের কামরা লাগানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড।

মহামানার ভাড়া অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি রাখা হয়েছে বলে রেলের খবর। রেলকর্তাদের আশা, ওই সব কামরায় যে-হারে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাতে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিতে আপত্তি করবেন না। ট্রেনটি আপাতত তিন সপ্তাহে এক বার যাতায়াত করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE