Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সুষমার নিশানায় পাকিস্তান

নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর নরম করবে না, তা স্পষ্টই ছিল। সেই কূটনৈতিক চিত্রনাট্য মেনেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস প্রশ্নে তুলোধোনা করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৫
Share: Save:

প্রেক্ষাপট তৈরিই ছিল। সার্জিকাল স্ট্রাইকের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন থেকে পাক বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল—লোকসভা ভোটের আগে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর নরম করবে না, তা স্পষ্টই ছিল। সেই কূটনৈতিক চিত্রনাট্য মেনেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস প্রশ্নে তুলোধোনা করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেই সঙ্গে আমেরিকা তথা পশ্চিমী দুনিয়াকে মনে করিয়ে দিলেন, ৯/১১ হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে গিয়ে মার্কিন সেনারা হত্যা করেছেন ঠিকই। কিন্তু মুম্বই হামলার চক্রীরা এখনও পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জে আজ জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বের সব চেয়ে বড় বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করেন সুষমা। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন নিউ ইয়র্ক ও মুম্বইয়ে হামলার কথা। এর পরেই পাকিস্তানকে আক্রমণ শুরু করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে সন্ত্রাসের মূল মদতদাতা পাকিস্তান। নিউ ইয়র্কে হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানই লুকিয়ে ছিল। এখনও মুম্বই হামলার চক্রীরা সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়ায়, সভা করে, এমনকি ভোটেও লড়ে।’’

সন্ত্রাস নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়া তথা রাষ্ট্রপুঞ্জও যে নিজেদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেনি তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সামগ্রিক সন্ত্রাস দমন নীতি এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে পাশ হয়নি। কারণ, কারা জঙ্গি তা-ই আমরা স্থির করতে পারিনি। তাই জঙ্গিদের গৌরবগাথা প্রচারে পাকিস্তানে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়।’’ সুষমার দাবি, ভারত সব সময়েই আলোচনা চায়। কিন্তু বারবার পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি হামলার জন্যই সেই আলোচনা ভেস্তে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE