চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে। গর্ভের সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না তিনি। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর গর্ভপাতের কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, ট্রেনের ফাঁকা কামরায় তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেন অভিযুক্ত। এখনও তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি। রেল পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তামিলনাড়ুর তিরুপুর স্টেশন থেকে শুক্রবার তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের মহিলা কামরায় উঠেছিলেন তরুণী। গন্তব্য ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর। তরুণী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জানান, ওই কামরায় তিনি ছাড়াও সাত জন মহিলা ছিলেন। একে একে তাঁরা সকলে নেমে যান। কামরায় তরুণী একা হয়ে পড়েন। সেই সময়ে এক যুবক ওই মহিলা কামরায় উঠে পড়েন বলে অভিযোগ। তাতে আপত্তি করেছিলেন তরুণী। কিন্তু যুবক তাঁকে জানান, কিছু ক্ষণ পরেই তিনি নেমে যাবেন।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, আধঘণ্টা মহিলা কামরায় শান্ত ভাবেই ছিলেন যুবক। পরে শৌচাগার থেকে পোশাক খুলে বেরিয়ে আসেন তিনি। আক্রমণ করেন তরুণীকে। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তরুণী ট্রেনের চেন টানার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, মুচড়ে ভেঙে দেওয়া হয় হাত। এর পর চলন্ত ট্রেন থেকেই ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে তরুণী জানান, তিনি হাত জোড় করে যুবকের কাছে কাকুতিমিনতি করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমি অন্তঃসত্ত্বা। তোমার বোনের মতো।’’ তার পরেও তাঁকে রেয়াত করা হয়নি।
রেললাইনের উপর দীর্ঘ ক্ষণ অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। তবে তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ট্রেন এবং স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।