এক বুক হতাশা নিয়েই আজ সকালের বিমানে শিলচর ছাড়লেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। তা সত্ত্বেও অসমের বিজেপি সরকারকে দোষারোপ করতে রাজি নন তিনি। বেহাল রাস্তাঘাটের জন্য অসমের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেই দায়ী করলেন তিনি। সড়ক পথে তথাগতবাবু গত কাল আগরতলা থেকে করিমগঞ্জ হয়ে শিলচর আসেন। গত বছরও একই পথে এখানে এসেছিলেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তথাগতবাবু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন নিয়ে অসমের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের একটি ‘ক্লাশ’ও নিয়েছেন। কিন্তু এ বার এসে দেখলেন, রাস্তাঘাটের হাল যথা পূর্বং, তথা পরং। তাঁর আশঙ্কা, ২০১৭ সালেও ত্রিপুরার মানুষকে অসমের রাস্তা নিয়ে ভুগতে হবে। এই অসন্তোষ প্রকাশের মধ্যেও তিনি সদা সতর্ক ছিলেন, অসমের বিজেপি সরকার বা পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের গায়ে যেন আঁচড় না লাগে। তাই বারবার বলেন, ‘‘এই রাস্তার এমন হাল গত এক বছরে হয়নি। দীর্ঘ কাল ধরে উপেক্ষার দরুনই সমস্যা মারাত্মক জটিল আকার নিয়েছে।’’ আমলাতান্ত্রিক গাফিলতিকেও তিনি এর জন্য দায়ী করেন।
এর আগে অসমের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত শিলচর থেকে একই সড়কে করিমগঞ্জ গিয়ে ফেরার পথে বিপাকে পড়েন। তাঁর গাড়ির চাকার টিউব ফেটে যায়। রাজভবনে ফিরে গিয়েই পূর্ত কর্তাদের ডেকে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এরপরও কেন ত্রিপুরার রাজ্যপালকে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে? তথাগতবাবুর অনুমান, করিমগঞ্জ জেলার ওই সব এলাকা অসমের প্রান্তিক অঞ্চল। অসমের বলতে শুধু পাথারকান্দি ও লোয়াইরপোয়ার কিছু মানুষকে সঙ্কট পোহাতে হয়। তাই পূর্ত বিভাগের এমন গা-ছাড়া মনোভাব। তথাগতবাবু বলেন, ‘‘কাল জানলাম, বহু জায়গায় এখনও কাজই বরাদ্দ হয়নি। এ ছাড়া, যেখানে কাজ হচ্ছে, সেখানেও কাজের গতি সন্তোষজনক নয়।’’ তাঁর দাবি, আগের বার জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে গিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গডকড়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। উত্তর-পূর্ব পরিষদের বৈঠকেও এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। রাস্তা নির্মাণে অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এ বার ফের এই রাস্তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তথাগতবাবু ‘রিপোর্ট’ করবেন। কথা বলবেন গডকড়ীর সঙ্গেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy