Advertisement
E-Paper

ছ’বছরের পড়ুয়ার মাথার চুল ছিঁড়ে নিলেন শিক্ষিকা!

স্কুলের মাইনে বাকি ছিল। তারই সাজা হিসাবে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মাথার চুল টেনে তা ছিঁড়ে নিলেন ক্লাস শিক্ষিকা। ঘটনায় এতটাই আতঙ্কিত ওই ছাত্রী যে, সে আর স্কুলে যেতে চাইছে না। মনমরা হয়ে বাড়িতেই রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৪২
এ ভাবেই প্রাচীর মাথার চুল ছিঁড়ে নিয়েল তার শিক্ষিকা।

এ ভাবেই প্রাচীর মাথার চুল ছিঁড়ে নিয়েল তার শিক্ষিকা।

স্কুলের মাইনে বাকি ছিল। তারই সাজা হিসাবে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মাথার চুল টেনে তা ছিঁড়ে নিলেন ক্লাস শিক্ষিকা। ঘটনায় এতটাই আতঙ্কিত ওই ছাত্রী যে, সে আর স্কুলে যেতে চাইছে না। মনমরা হয়ে বাড়িতেই রয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ঠাণের জ্ঞানোদয় বিদ্যামনন্দিরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে ছ’বছরের প্রাচী। কয়েক দিন ধরে স্কুল যাওয়ার কথা শুনলেই মেয়ের মুখটা শুকনো হয়ে যাচ্ছিল। কেমন যেন কুঁকড়ে যাচ্ছিল সে। বারংবার জিজ্ঞাসার পর জানা গেল, শিক্ষিকা তাকে মেরেছে। মাথার পিছন দিকটা দেখিয়ে জানায়, চুল টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কেন?

প্রাচীর বাবা অখিলেশ গুপ্ত এ দিন বলেন, “কয়েক দিন ধরেই দেখছিলাম, স্কুলের কথা শুনলেই প্রাচী কেমন একটা করছে। সে দিন স্কুলে যাওয়ার কথা বলতেই অঝোরে কাঁদতে আরম্ভ করল। এর পর আমাকে যা বলল তাতে আমি হতবাক!” অখিলেশ জানিয়েছেন, স্কুলে ৪০০০ টাকা মাইনে বাকি ছিল। আর তা দিতে না পারায় মেয়েকে কড়া শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষিকা।

আরও পড়ুন

ফেসবুক লাইভে মহিলাকে গণধর্ষণের ভিডিও!

ঘটনার পর এখন আর স্কুলে যেতে চাইছে না ছোট্ট প্রাচী।

ইন্দিরা নগরে অখিলেশের একটি ছোটখাটো স্টুডিও রয়েছে। ঘর এবং দোকান মিলিয়ে যা তার কাছে ছিল, সব টাকা নিয়ে স্কুলে যান তিনি। সঙ্গে প্রাচীকেও নিয়ে যান। স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার কথা বলেন। প্রিন্সিপালের দাবি, তাঁরা কিছুই জানতেন না। এমনকী, মাইনে বাকি থাকলে তা ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকার চাওয়ার কথা নয়। এবং ছাত্রীর সঙ্গে অমন ব্যবহার করাও ঠিক হয়নি। পড়ুয়াদের মারধর করাটা নিয়ম বিরুদ্ধ, এই নির্দেশ স্কুলের সমস্ত শিক্ষককে দেওয়া আছে বলেও জানান ওই প্রিন্সিপাল।

আরও পড়ুন

সদ্যোজাতের চারটে পা এবং দুটো যৌনাঙ্গ!

এর পর অভিযুক্ত শিক্ষিকা রেখা নায়ারকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকতে দেখে কেঁপে ওঠে প্রাচী। ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন ওই শিক্ষিকা। তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে সাসপেন্ড করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে ক্ষুব্ধ অখিলেশ। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় এফআইআর করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টা ইতিমধ্যেই মিটে গিয়েছে বলে তা নেওয়া হয়ননি।

ছবি: সংগৃহীত।

Teacher 6-Year-Old Student School Fees
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy