E-Paper

টেট-রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রাজ্যের শিক্ষকদের

শিক্ষকদের পাঁচ বছর চাকরি রয়েছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে টেট উত্তীর্ণ হতে হবে। দু’বছরের মধ্যে টেট উত্তীর্ণ হতে না পারলে অবসর নিয়ে নিতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের টেট-এ বসতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এ বার রাজ্যের তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষকদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন। আজ তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্য কমিটির নেতা অশোক রুদ্র-সহ বেশ কিছু শিক্ষক সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। অশোকের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তিন লক্ষ প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষক আশঙ্কার মুখে। গোটা দেশের ৪০ লক্ষ শিক্ষক চিন্তায় পড়েছেন। দেশের তিন-চার জন শিক্ষক ইতিমধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন। কারণ সুপ্রিম কোর্টের গত ১ সেপ্টেম্বরের রায় অনুযায়ী, যে সব প্রাথমিক শিক্ষকদের পাঁচ বছর চাকরি রয়েছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে টেট উত্তীর্ণ হতে হবে। দু’বছরের মধ্যে টেট উত্তীর্ণ হতে না পারলে অবসর নিয়ে নিতে হবে।

গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহন রায় দিয়েছিলেন, শিক্ষার অধিকার আইন মেনে যে সব প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের টেট পাশ শংসাপত্র নেই, তাঁদের আগামী দু’বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে ২০১২ সালে প্রথম টেট পরীক্ষা হয়েছিল। যদিও সেই পরীক্ষাও জাতীয় স্তরের মতো দেড়শো নম্বরের বদলে একশো নম্বরের হওয়ায় তাঁরা টেট পাশের শংসাপত্র পাননি। তার আগে পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে নিয়োগ হত। অশোকের প্রশ্ন, কেন এই রায় যাঁরা আগেই চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে? সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশ, কেরলের মতো রাজ্য সরকার ও শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। অশোক অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি রায়ের ফলে প্রভাবিত শিক্ষকদের তরফে মামলা দায়ের করেছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy