শনিবারই তাঁর বাবা-মা তুলে কুকথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাত পেরোতেই পাল্টা জবাব দিলেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। বিহারে বিরোধী জোটের কান্ডারি তেজস্বী এ দিন সকালে টুইটারে লেখেন, ‘‘শ্রদ্ধেয় নীতীশ কুমারজি ক্লান্ত। ওঁর বস্তাপচা, একঘেয়ে, পুরনো কথা শুনে শুনে মানুষ হতাশ।’’
ঠান্ডা মাথার এবং শালীন কথাবার্তার জন্য বিহারের রাজনীতিতে তাঁকে অন্য চোখে দেখে গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই নীতীশ নিজেই এ বার প্রবল চাপে। একে তো শেষ মুহূর্তে জোট ভেঙে বেড়িয়ে গিয়ে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত এলজেপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। বিরোধীদের মতোই চড়া সুরে প্রতিদিন নীতীশকে আক্রমণ করছেন তিনি।
পাশাপাশি রামবিলাসের প্রতি সহানুভূতির হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে চিরাগ তাঁর ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে পারেন বলে রীতিমতো আশঙ্কায় নীতীশ-শিবির। এই অবস্থায় তেজস্বীর সভায় বিপুল ভিড় চাপ বাড়াচ্ছে নীতীশের। সেই সঙ্গে রয়েছে ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই সব কারণ মিলিয়েই বারবার মেজাজ হারাচ্ছেন বিহারের ‘সুশাসন বাবু’ বলে পরিচিত নীতীশ।