তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। —ফাইল চিত্র
চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মুখ খুললেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন কেসিআর। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
হায়দরাবাদের কাছে সাইবারাবাদ থানা এলাকায় চাতানপল্লির কাছে একটি কালভার্টের নীচে এক তরুণী পশু চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এই গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় সারা দেশ। তেলঙ্গানায় চলছে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। অনেকের মতে, এটা দ্বিতীয় নির্ভয়া কাণ্ড। প্রশ্ন উঠেছে সাইবারাবাদ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। অভিযোগ, পরিবার নিখোঁজের কথা বললেও প্রথমে গুরুত্বই দেয়নি পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর কয়েকটি থানা ঘোরার পর অভিযোগ দায়ের হয়।
কিন্তু গত কয়েক দিনে এ নিয়ে মুখ খোলেননি কেসিআর। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর দফতর থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এই মামলার বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
আরও পড়ুন: চিৎকার বন্ধ করতে চিকিৎসকের মুখে ঢালা হয়েছিল মদ! তেলঙ্গানায় ধর্ষণকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য
আরও পড়ুন: গণধর্ষণ এ বার কোয়ম্বত্তূরে, পার্কে বন্ধুকে বেঁধে রেখে সামনেই অত্যাচার, অভিযুক্ত ৬
২৬ বছরের চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ভীষণ মর্মাহত।’’ ওয়ারঙ্গলে এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার হয়েছিল। তাতে ৫৬ দিনের মাথায় দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করেছিল আদালত। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘‘কে চন্দ্রশেখর রাও মনে করেন, এই ঘটনাতেও খুব শীঘ্রই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy