Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Terrorists

মাদক বেচে টাকা তুলছে জঙ্গিরা

সম্প্রতি ত্রিপুরায় মাদক পাচার অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে। এ বছরে অস্বাভাবিক পরিমাণে হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ত্রিপুরায়।

terrorist.

—প্রতীকী ছবি।

বাপী রায়চৌধুরী
আগরতলা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫২
Share: Save:

আগে নানা ভাবে পাঠানো হতো নগদ টাকা। তার বদলে এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জঙ্গিদের হাতে বিক্রির জন্য মাদক তুলে দিচ্ছে চিন এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। এই মাদক বেচে সংগঠন চালানোর জন্য অর্থের সংস্থান করছে জঙ্গিরা। সেই মাদক দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়কে নেশাগ্রস্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানাচ্ছে, এই অঞ্চলে জঙ্গিদের দিয়ে মাদক ব্যবসার বৃদ্ধি এবং অস্থিরতা জিইয়ে রাখার নতুন এই কৌশল নিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং চিনের এজেন্টরা।

সম্প্রতি ত্রিপুরায় মাদক পাচার অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে। এ বছরে অস্বাভাবিক পরিমাণে হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ত্রিপুরায়। চলতি বছরের ছ’মাসেই এর পরিমাণ ৬ কেজির বেশি। রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, এই হেরোইন মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তের চাম্পাই এলাকা দিয়ে দেশে আনা হচ্ছে। সেখানে এই মাদক পাচারকারীদের হাতে তুলে দেবার জন্য যারা আসে, তাদের হাতে এ কে ৪৭ রাইফেল-সহ নানা আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। এদের মধ্যে এক জনকে ‘আর্মি’ বলে ডাকতে শুনেছে পাচারকারীরা। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ‘আর্মি’ এনএসসিএন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। পুলিশ সূত্রের খবর, মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী যুক্ত হওয়ায় হেরোইনের বাজার দর কমে গিয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, জঙ্গিদের টাকার উৎস খুঁজতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লেনদেনে নজরদারি চালিয়ে থাকেন। এই কারণেই সম্ভবত অর্থ সংগ্রহের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে জঙ্গিরা। তারা এখন চিনের সূত্র থেকে সরাসরি অর্থ পাচ্ছে না। পরিবর্তে বিক্রির জন্য হেরোইন-সহ বিভিন্ন মাদক জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

ত্রিপুরা জুড়ে মাদকের বাড়বাড়ন্তের প্রতিবাদ করে সোমবারই আগরতলা ওরিয়েন্ট চৌমোহনীতে ত্রিপুরা মহিলা কংগ্রেস গণ অবস্থানের আয়োজন করে। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিসকুমার সাহা বলেন, “ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্যে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। পরিবর্তে ত্রিপুরা এখন মাদক-সর্বস্ব রাজ্যে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মাদকের কারবার চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorists Illegal drugs India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE