অরণাচলপ্রদেশে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত আইএএস অফিসার তালো পোটমকে। তাঁর বিরুদ্ধে তরুণ এক কর্মীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়াও যৌন হেনস্থা, ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ রয়েছে।
১৯ বছরের গোমচু ইয়েকার আত্মহননের আগে ওই আমলা এবং তিকওয়াং লোয়াং নামে অরুণাচলের ‘রুরাল ওয়ার্কস্ ডিপার্টমেন্ট’-এর ইঞ্জিনিয়ারের নাম লিখে যান সুইসাইড নোটে। তার পরের দিনই লোয়াংয়ের গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে তাঁর বাসভবনে। অভিযোগ, সরকারি অফিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সুইসাইডে নোটে নিজের নাম দেখার পরে আত্মহত্যা করেন তিনি।
১৯ বছরের ইয়েকার পোটম এবং লোয়াঙের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, ভয় দেখানো, অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা ইত্যাদির অভিযোগ করে যান। তার প্রেক্ষিতে মৃতের বাবা তগোম ইয়েকার দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন। যদিও বর্তমানে দিল্লিতে থাকা ওই আইএএস অফিসার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, তাঁর নাম জড়িয়ে সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
আত্মঘাতী তরুণ পাবলিক ওয়ার্কস্ ডিপার্টমেন্টে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর কাজ করতেন। ওই আইএএস অফিসারই তাঁকে কাজ পেতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি তখন ছিলেন ইটানগরের ডেপুটি কমিশনার। আত্মহত্যার আগে তরুণকর্মী লিখে যান যৌন হেনস্থার পর তিনি এইচআইভি আক্রান্ত হন। এর পরেই দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন। তিনি এ-ও লেখেন, তাঁর ওই ক্ষতির জন্য ১ কোটি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন দুই সরকারি পদস্থ কর্তা। কিন্তু পরে সেই টাকা চাওয়ায় তাঁর জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও, দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অরুণাচলের পুলিশ জানিয়েছে আত্মঘাতী তরুণ এবং সরকারি আধিকারিকের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের এইচআইভি পরীক্ষাও হয়েছে। রিপোর্টেও অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, ৫৩ বছরের আইএএস অফিসার পোটম বর্তমানে দিল্লিতে পাবলিক ওয়ার্কস্ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত। সোমবার তিনি অরুণাচলের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।