অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল মুম্বই থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো উড়ানে হেনস্থার মুখে পড়া যাত্রী হাসনুর। মুম্বই থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো ফ্লাইটের তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে শিলচরের বিমানে চড়ার ঝুঁকি নেননি অসমের কাটিগড়ার লাঠিমারা গ্রামের বাসিন্দা হুসেন আহমেদ মজুমদার ওরফে হাসনু। কলকাতা থেকে তিনি বিমানে নয়, ট্রেনে শিলচর ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার মুম্বই-কলকাতা ইন্ডিগোর বিমানে চড়েছিলেন হাসনু। সেটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম উড়ান। বিমান চালু হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেন। বিমানসেবিকারা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তখনই এক সহযাত্রী তাঁকে চড় মারে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। বিমানের অন্য যাত্রীরা সকলেই ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান ও চড় মারা যাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। ইন্ডিগো বিমান সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বলে, চড় মারা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে, কলকাতায় পৌঁছে সিআইএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে ভুল স্বীকার করে সে। জামিন পায়। ওই ব্যক্তিকে ‘নো ফ্লাইং লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্ডিগো।
ইন্ডিগো সূত্রে খবর, পরে হাসনুকে শান্ত করে বসানো হয়। বিমানও ওড়ে। কিন্তু তার পর থেকে হাসনুর খোঁজ ছিল না। হাসনুর বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর কাকা জানান, গত কাল সকালে হাসনুকে আনতে তাঁরা শিলচরের কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে যান। কিন্তু হাসনু আসেননি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কেউই সাহায্য করেনি। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কাছাড় জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার নুমাল মাহাত্তা জানান, অসম পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বার করতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা গিয়েছে, হাসনু বিমানে নয় ট্রেনে ফিরছেন। তিনি আরও জানান, “চড় মারার ঘটনার পরে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে হাসনু ও তাঁকে যে চড় মেরেছিল তাকে সিআইএসএফের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই যাত্রীর কাছ থেকেই বিবৃতি নেওয়া হয়।”
এ দিকে মুম্বইয়ে তাঁর মোবাইলও হারিয়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে পরিবার তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না। নুমাল জানান, “আমরা যত দূর জেনেছি তিনি ট্রেনে ফিরছেন।” হাসনুর পরিবারের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন যে হাসনু কলকাতা থেকে ট্রেনে ফিরে আসছেন এবং বরপেটা স্টেশন থেকে তিনি বাড়িতে যোগাযোগ করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)