মুম্বইয়ের কনসুলেটে জেফ ডেভিড-সহ এক ঝাঁক নতুন কূটনীতিককে নিযুক্ত করল কানাডা সরকার। ২০২৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় থাকাকালীন তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্ক। সে সময়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বহু কূটনীতিককে। তবে মার্ক কার্নি ক্ষমতায় আসার পরে সেই শৈত্য যে কাটছে, সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।
কানাডার বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ ঘোষণা করেছেন, মুম্বইয়ের কনসুলেটে নতুন কনসাল জেনারেল হবেন জেফ ডেভিড। এর আগে এই পদে ছিলেন ডিয়েডরা কেলি। চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ সম্মেলন চলাকালীন পার্শ্ববৈঠকে প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কানাডা সরকার পিছপা না হলেও ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে কার্নি প্রকাশ্যে তিক্ততা আনবেন না, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
বস্তুত, ২০২৩ সালে খলিস্তানি নেতা নিজ্জরের খুনের ঘটনার তদন্ত শুরুর পর থেকেই তিক্ততা বেড়েছিল ভারত-কানাডার মধ্যে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, খলিস্তানি নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে। যে অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারত-কানাডা সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন ভারতে নিযুক্ত কানাডার বেশ কয়েক জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারত। ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল কানাডা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)