ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, সিপিএল-এ খেলতে এসেছি, জামাইকা-র হয়ে। দেশ থেকে এত দূরে, কিন্তু সময় কাটছে ভালই। একা লাগছে না। এখানে তো সব আমার পরিচিত ক্রিকেটার। সবাই মিলে মজা করছি। বিশেষ করে রাসেল আছে তো। মানে আন্দ্রে রাসেল— আমাদের কেকেআর-এর, আমার কলকাতার টিমমেট।
আজকের এই বিভাজনের যুগে, যখন কাঁটাতারের চেয়েও শক্ত হয়ে উঠেছে মনের বেড়া, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হতে পারে এই ‘আমাদের কলকাতা’ উচ্চারণ করাটা একটু কঠিন। বিশেষ করে আমার পক্ষে, যে কিনা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশের খেলোয়াড়। আমি কিন্তু পারি। বাংলাদেশের এক গর্বিত সন্তান, বাংলাদেশ-অন্তপ্রাণ মানুষ হয়েও পারি— কলকাতাকে ‘নিজের’ বলে উচ্চারণ করতে। বিশ্বাস করি, সাকিব আল হাসান মানুষটা পুরোটা বাংলাদেশের, আর অনেকটাই এই কলকাতারও।
কলকাতার নাম উঠলেই আমি একটু নস্টালজিক হয়ে পড়ি। কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরেই সবচেয়ে বেশি সময় খেলেছি কেকেআরের হয়ে। আজ পাঁচ-ছয় বছর ধরে খেলছি। এখন আর কলকাতাকে আমার বিদেশি কোনও শহর বলে মনে হয় না। মনে হয়, আমি ঢাকাতেও যেমন থাকি, কলকাতাতেও তেমনই থাকি। বরং এটা বলা ভাল, কলকাতার জীবনটা বাংলাদেশের বাইরে যে কোনও শহরের চেয়ে বেশিই পছন্দ করি। আর ইডেন নিয়ে বরাবরই আমার মধ্যে একটা আবেগ কাজ করে। কেকেআরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার অনেক আগে, সেই ২০০১ সালে, যুব দলের হয়ে এই ইডেনে খেলতে এসেছিলাম। সেটাই ছিল দেশের বাইরে আমার প্রথম সফর। কলকাতা তথা ভারতের সঙ্গে আমার কি আর আজকের সম্পর্ক! ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা— আমার শৈশবের ভালবাসা।