রঞ্জন গগৈ। —ফাইল চিত্র।
বিতর্ক থামছে না প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের আত্মজীবনী নিয়ে।
বইটিতে গগৈয়ের সঙ্গে অযোধ্যা মামলায় রায়দানকারী বেঞ্চের সদস্যদের একটি ছবি রয়েছে। তাতে ক্যাপশন করা হয়েছে, ‘‘অযোধ্যা রায়ের পরে আনন্দ।’’ গগৈ জানিয়েছেন, অযোধ্যা রায় দেওয়ার পরে সন্ধ্যায় বেঞ্চের অন্য সদস্যদের দিয়ে দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে যান তিনি। সেখানে চিনা খাবার ও ওয়াইন খান।
এমন একটি বিতর্কিত বিষয়ে রায় দেওয়ার পরে ‘উৎসব’-এর ছবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজ এক সাক্ষাৎকারে গগৈ বলেন, ‘‘উৎসব নয়। বন্ধুদের নিয়ে নৈশভোজে গেলে কি আপনারা বাইরের খাবার খেয়ে দেখেন না?’’ কিন্তু মামলায় হেরে যাওয়া পক্ষের চোখে কি বিষয়টি অসংবেদনশীল বলে মনে হবে না? গগৈয়ের জবাব, ‘‘এই বিচারপতিরা চার মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। আমাদের মনে হয়েছিল একটু
বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। যা করার অনুমতি নেই তেমন কিছু কি করেছি আমরা?’’
অন্য দিকে আজ রঞ্জন গগৈকে পাল্টা তোপ দেগেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ছেলে গৌরব। এনআরসি মামলায় তরুণ অসম সরকারের পক্ষে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে আত্মজীবনীতে দাবি করেছেন রঞ্জন। কংগ্রেস নেতা গৌরবের পাল্টা দাবি, ‘‘রাফাল মামলার বিচার, নিজের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় নিজেই বিচার করা, অবসরের চার মাসের মধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া ও সেখানে মাত্র ১০ শতাংশ উপস্থিতির হার থাকা রঞ্জন গগৈকে মানুষ ইতিমধ্যেই চিনেছেন। বাবা বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি মুখ খোলেননি। এখন তিনি যাই বলুন বাবার প্রতি রাজ্যবাসীর শ্রদ্ধা অটুট থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy