Advertisement
E-Paper

হঠাৎ বদলে কি ভাগ্য বদলাবে ফাইলের

সিবিআইয়ের দুই কর্তার দ্বন্দ্বের গতিপ্রকৃতিতে মঙ্গলবার ‘হতাশ’ ছিলেন কলকাতায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন এবং আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৪
নলিনী চিদম্বরম।

নলিনী চিদম্বরম।

সারদা মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে ডিরেক্টর অলোক বর্মার কাছে পাঁচ মাস আগে অনুমোদন চেয়েছিল সিবিআইয়ের কলকাতা অফিস। সেই অনুমতি মেলেনি বলে দাবি স্থানীয় আধিকারিকদের। বর্মা ছুটিতে যাওয়ার পর নলিনী সংক্রান্ত এবং ভুয়ো অর্থলগ্নি তদন্ত সংক্রান্ত আরও তিনটি ফাইলে অনুমোদন আসবে বলে তাঁদের আশা।

সিবিআইয়ের দুই কর্তার দ্বন্দ্বের গতিপ্রকৃতিতে মঙ্গলবার ‘হতাশ’ ছিলেন কলকাতায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন এবং আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এই ‘অচলাবস্থা’য় আগামী দু’তিন মাস তদন্তের কাজ সে ভাবে এগোনো মুশকিল হতে পারে। বর্মাকে ছুটিতে পাঠানো-সহ সিবিআইয়ে এক ঝাঁক আধিকারিকের বদলির পর তাঁদের আশা, এ বার হয়তো কাজ কিছুটা এগোবে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় ইডি আগামী দু’দিনের মধ্যে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারে। যদিও সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের বয়ানের প্রেক্ষিতে নলিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি ‘সদর’ থেকে আসেনি। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা শুনেছি, ডিরেক্টর সাহেবের ঘরেই পাঁচ মাস ধরে ফাইল পড়ে রয়েছে। এমন আরও তিনটি ফাইল আটকে রয়েছে সদরে।’’ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে বার বার নারদা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতিদের ধমক খেতে হচ্ছে। দিল্লির অনুমোদন না পাওয়ায় এই মামলায় সিবিআই কী করতে চায়, তদন্তে কী মিলেছে আদালতে স্পষ্ট বলা যায়নি বলে ওই সূত্রের দাবি। সারদা ও রোজভ্যালি মামলায় আরও কয়েকজন ‘প্রভাবশালী’কে জেরা করতে চেয়েও চার মাস আগে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। এখানকার কয়েক জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সদর দফতরের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। সে অনুমোদন আসেনি বলে স্থানীয় আধিকারিকদের দাবি। সংস্থায় হঠাৎ বদলের পর এখন কিছু সুরাহা হতে পারে বলে তাঁদের আশা।

সম্প্রতি সারদা মামলায় রাজ্যের গঠিত সিটের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা পল্লবকান্তি ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, সিট-এর ‘আসল ক্ষমতা’ কাদের হাতে ছিল তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন সিবিআইকে। ওই কর্তার এক ঘনিষ্ঠের বিয়ে মিটলেই আবার কথা বলতে চান সিবিআই কর্তারা। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ অবশ্য আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অর্থ নেই। সিবিআই সে সবও এখন খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।

nalini chidambaram CBI Controversy Sarada
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy