উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত জুড়ে চলছে ঠান্ডার দাপট। শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশায় দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের একাংশ কাবু হয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, গত ২৩ বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার তাপমাত্রার পারদপতন হয়েছে। এমনকি, বছরের শুরুতে এত দীর্ঘ সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহ গত দশ বছরেও দেখা যায়নি বলে মৌসম ভবন সূত্রের খবর। বুধবার থেকে কুয়াশার মাত্রাও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত এক টানা ৭ দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ছিল। ৬ জানুয়ারি দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। ২০০৬ সালেও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই বছরেও তার হেরফের হয়নি।
আরও পড়ুন:
জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের ফলে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারেরও কম। ঘন কুয়াশার ফলে দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। বিমান বাতিল হওয়ায় বিপদে পড়ছেন যাত্রীরা।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রথম টানা ৫০ ঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ছেয়ে রয়েছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা সপ্তাহ জুড়ে শীতের প্রকোপ এমনটাই থাকবে। ১৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।