Advertisement
E-Paper

গুগলের চাকরি ছেড়ে শুধু শিঙাড়া বেচেই ৫০ লাখ!

গরম ধোঁয়া ওঠা সোনালি খোল। তার ভিতর হরেক কিসিমের মশলায় মাখামাখি তুলতুলে মাটনের পুর। যার বাহারি নাম ‘স্মোকড মাটন কিমা সমোসা’। চলতি বাংলায় যাকে বলে ‘মাটন শিঙাড়া’।

অমৃত হালদার

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ১৮:৪৭
মুনাফ কাপাডিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

মুনাফ কাপাডিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

ঈর্ষণীয় বেতন। মার্কিন মুলুকে বিলাসবহুল জীবন। বিশ্বের সেরা আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি। আর সেই সংস্থাটি যদি হয় ‘গুগল’ তবে তো কোনও কথাই নেই। কয়েক বছর চাকরিতে লেগে থাকতে পারলেই উঁচু পদ আর কোটি টাকার হাতছানি... এ সব ছেড়ে যদি কেউ শিঙাড়া বেচার ভাবনায় মশগুল হন, তবে সেই ভাবনাকে ‘পাগলাটে’ বলার কোনও জায়গা নেই। কারণ, এমনটা করেই সাফল্য পেয়েছেন মুনাফ কাপাডিয়া। ঝুঁকিটা তিনি নিয়েই ফেলেছিলেন।

গরম ধোঁয়া ওঠা সোনালি খোল। তার ভিতর হরেক কিসিমের মশলায় মাখামাখি তুলতুলে মাটনের পুর। যার বাহারি নাম ‘স্মোকড মাটন কিমা সমোসা’। চলতি বাংলায় যাকে বলে ‘মাটন শিঙাড়া’। এই শিঙাড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করার জন্যই টেক জায়ান্ট গুগলের আরামদায়ক চাকরি ছেড়েছিলেন মু্ম্বইয়ের বাসিন্দা ২৯ বছরের মুনাফ কাপাডিয়া। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০১৫ সালে তিনি ‘দ্য বোহরি কিচেন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলে ফেললেন। মূলধন মায়ের পরামর্শ। মাত্র দু’বছরের মধ্যে মুনাফের ‘দ্য বোহরি কিচেন’ হয়ে উঠল মুম্বইয়ের অন্যতম আলোচিত ফুড ডেস্টিনেশন। বছরে তাঁর রেস্তোরাঁর টার্ন ওভার ৫০ লক্ষ টাকা।

মায়ের সঙ্গে মুনাফ।

ঠিক কেমন ছিল মুনাফের ব্যবসা শুরুর জার্নিটা?

মুম্বইয়ের নার্সি মনজি থেকে এমবিএ করে বছরখানেক দেশেই চাকরি করেছিলেন তিনি। এর পর ডাক এল গুগল থেকে। আমেরিকায় কয়েক বছর লেগে রইলেন মুনাফ। কিন্তু সাহেবদের দেশে কেন যেন মন বসল না তাঁর।

আরও পড়ুন: রাইসিনার রান্নাঘরে আলুপোস্ত, তালের বড়া

সব রকম প্রলোভন ছাপিয়ে মায়ের হাতের রান্না করা খাবারের জন্যে মুনাফের জিভ আনচান করত। সঙ্গে স্মৃতিতে ভর করে আসত বন্ধুদের আড্ডা। বন্ধুদের সঙ্গে দোকানে বসে চা-শিঙাড়া খাওয়ার সময়টার কথা ভেবে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠত। অগত্যা বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে।

Golden Brown Mutton Kheema Samosas #samosa #foodporn #fried

A post shared by The Bohri Kitchen (@thebohrikitchen) on

A post shared by The Bohri Kitchen (@thebohrikitchen) on

স্বপ্নের নগরী মুম্বইয়ে বহু মানুষ আসেন কাজের সন্ধানে। নিজের বাড়ির খাবারকে মিস করেন অনেকেই। সেই ভাবনা থেকেই মুনাফ তাঁর রেস্তোরাঁর ট্যাগলাইন দিয়ে ফেললেন— ‘ঘর কা খানা’।

If you enjoyed the TBK experience as much as we enjoyed having you over, please share your photos and tag us at @thebohrikitchen. We love reading about the good time our diners had! #thebohrikitchen #bohrifood #homedining #homechef #foodgram #instafood #soulfood #showsomelove

A post shared by The Bohri Kitchen (@thebohrikitchen) on

A post shared by The Bohri Kitchen (@thebohrikitchen) on

তাঁর ইচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যে মুনাফার অঙ্কটাকে বছরে পঞ্চাশ লক্ষ থেকে পাঁচ কোটিতে নিয়ে যাবেন তিনি। মুনাফ ‘টাইমস নাউ’কে বলেন, ‘‘সাফল্যের জন্য ঝুঁকি নিতে হয়।’’ এখানেই থামছেন না মুনাফ। জার্নিটা সবে শুরু। আরও এগিয়ে যেতে চান অনেক অনেক দূর পর্যন্ত। তাঁর ‘বোহরি কিচেন’কে ছড়িয়ে দিতে চান ভারতের সীমানা পেরিয়ে দেশের বাইরেও। ফোর্বস ম্যাগাজিন সম্প্রতি ‘আন্ডার থার্টি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে মুনাফ কাপাডিয়ার নাম।

Munaf Kapadia The Bohri Kitchen TBK Mumbai Restaurant মুনাফ কাপাডিয়া মুম্বই
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy