Advertisement
E-Paper

পুরস্কারের লোভ! ফিশপ্লেট খুলে রেখে দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন বাঁচানোর নাটক, সুরাতে ধৃত তিন রেলকর্মী

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, সুভাষ পোদ্দার, মণীশ মিস্ত্রি এবং শুভম জয়সওয়াল। ন’বছর ধরে রেলের ট্র্যাকম্যান হিসাবে কাজ করছেন সুভাষ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:০৮
রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়েছে।

রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট খুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। তার পর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই লাইনে ট্রেন আসতেই দূর থেকে তাঁরা চালককে সতর্ক করেন যে, রেললাইনে গড়বড় হয়েছে। চালক নেমে দেখেন রেললাইনের ফিশপ্লেট খোলা। সেগুলি আবার রেললাইনের উপরে রাখা। সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনমাস্টার এবং রেলের শীর্ষকর্তা এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। আর এর মধ্যেই চাউর হয়ে যায়, বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে ওই রেলকর্মীরাই ট্রেনটিকে বাঁচিয়েছেন। কিন্তু ভুয়ো অন্তর্ঘাতের নাটকের যে পর্দাফাঁস হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি ওই রেলকর্মীরা।

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কিছু রাজ্য যখন রেললাইনের উপর কখনও গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও আবার লোহার রড ফেলে রাখার ঘটনা ঘিরে শোরগোল চলছে, সেই আবহকে কাজে লাগিয়েই গুজরাতের সুরাতে দুই ট্র্যাকম্যান এবং রেলেরই এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, সুভাষ পোদ্দার, মণীশ মিস্ত্রি এবং শুভম জয়সওয়াল। ন’বছর ধরে রেলের ট্র্যাকম্যান হিসাবে কাজ করছেন সুভাষ। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। মণীশ পটনার বাসিন্দা। তাঁরা দু’জনে ট্র্যাকম্যানের কাজ করেন। আর চুক্তিভিত্তিক কর্মী শুভমের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলিতে। সুরাতের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) হোতেশ জয়সার জানিয়েছেন, তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর কোশাম্বী এবং কিম স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লাইনের বেশ কিছু বোল্টও খুলে রাখা হয়েছিল। ওই লাইন ধরে ট্রেন গেলেই বহু প্রাণহানি ঘটত। কিন্তু ট্র্যাকম্যান সুভাষ এবং তাঁর দুই সঙ্গী সেই ফিশপ্লেট খুলে রেখে দিয়েছিলেন বলে জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন। খোলা সেই ফিশপ্লেটের ছবি ঊর্ধ্বতনদের পাঠিয়েও ছিলেন তাঁরা। এমন ভাবে গোটা ঘটনাটিকে সাজিয়েছিলেন যা দেখে মনে হত, দুষ্কৃতীরা সেই কাজ করেছিল, আর তাঁরাই ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় দেখে ট্রেনের চালক এবং স্টেশনমাস্টারকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাতের দায়িত্বে থাকা ওই তিন জনের বিরুদ্ধে সন্দেহ দৃঢ় হয় পুলিশের। তাঁদের জেরা করতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, রেলের তরফে পুরস্কার পাওয়ার লোভেই তাঁরা নাকি এ কাজ করেছেন।

Surat train
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy