গুরমেহর কউর। ছবি: টুইটার।
ফের প্রত্যাঘাতে গুরমেহর কউর। এবিভিপি-র বিরোধিতায় টুইট করার পর প্রবল ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী। শহিদ সেনাকর্মীর মেয়েকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। জবাব-পাল্টা জবাবের লড়াইতে ঢুকে পড়ে বীরেন্দ্র সহবাগ, রণদীপ হুডার মতো কেউকেটারাও গুরমেহরের দিকে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছিলেন। ‘এর চেয়ে বেশি সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই’— শেষমেশ এইটুকু লিখে টুইট-লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান গুরমেহর। এবিভিপি বিরোধী মিছিল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন। কিন্তু আবার ফিরলেন তিনি। নাম না করে বীরেন্দ্র সহবাগের দিকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন ছোট্ট টুইটে। লিখলেন, ‘আমি টুইট করিনি, আমার হাত করেছে।’
এর আগে একটি টুইটে গুরমেহর লিখেছিলেন, ‘আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কিন্তু আমি এবিভিপি-কে ভয় পাই না।’ অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছিলেন ‘আমার বাবাকে পাকিস্তান মারেনি, যুদ্ধ মেরেছে।’ এই মন্তব্যটিকেই কটাক্ষ করেন সহবাগ। তিনি লেখেন, ‘আমি দু’টো ট্রিপল সেঞ্চুরি করিনি, আমার ব্যাট করেছে।’ বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডাও সেই কটাক্ষে যোগ দেন। সহবাগের মন্তব্যের প্রতিই সমর্থন ছিল তাঁর। গুরমেহরকে ‘বেচারা’ বলেও সম্বোধন করেছিলেন রণদীপ। এ সবের পরেই টুইটারের লড়াই বন্ধ করে দেন গুরমেহর। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির উপর এবিভিপির লাগাতার হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে আবার ফিরলেন তিনি। এ বারের টুইটে কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে ‘আমি টুইট করিনি, আমার হাত করেছে’— এই মন্তব্য যে সহবাগের প্রতিই, তা নিয়ে কারও সংশয় নেই।
এই টুইটের পর থেকেই আক্রমণ আসা শুরু।
গুরমেহর নিজে এত দিন সহবাগকে জবাব না দিলেও, সহবাগ কিন্তু বিভিন্ন মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার পর সহবাগ বিষয়টিকে হালকা করে দেন এবং জানান, তিনি মজা করেছিলেন। রণদীপ হুডাও জানান, তিনি সবটা না বুঝেই টুইট করেছিলেন। তবে সে সব কথায় যে চিঁড়ে ভেজেনি, গুরমেহরের সাম্প্রতিকতম টুইটে তার প্রমাণ মিলল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর এই টুইটটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং। মাত্র ১১ ঘণ্টায় ১০০০ রিটুইট হয়েছে সেটি, ১৫০০ লাইক পড়েছে।
আরও পড়ুন: হিন্দু ভক্তিগীতি গেয়ে ফেসবুকে আক্রমণের মুখে মুসলিম তরুণী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy