Advertisement
০৩ মে ২০২৪
TMC

Tripura TMC: তৃণমূলের ত্রিপুরা-অভিযান: অভিষেকের ধনুকে পঞ্চবাণ ঠিক করে দিল কালীঘাট

ত্রিপুরায় ভোট আসছে ২০২৩ সালে। সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে বাংলার পাঁচ নেতাকে ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি এবং প্রসারের দায়িত্ব দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২১ ১২:৫০
Share: Save:

মোদী, শাহেরা সশরীরে ঝাঁপিয়ে পড়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা আটকাতে পারেননি। বাংলার ভোটে বিপুল জয়ের পর, তৃণমূল এ বার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাল্টা নজর ফেলেছে। অসম আর ত্রিপুরায়। অসমে বাংলার সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরায় ভোট আসছে ২০২৩ সালে। সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে বাংলার পাঁচ নেতাকে ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি এবং প্রসারের দায়িত্ব দিল কালীঘাট। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। এঁদের অধিকাংশকেই সাম্প্রতিক সময়ে এক বা একাধিক বার ত্রিপুরায় দেখা গিয়েছে। এঁদের মাথায় থেকে ত্রিপুরার সংগঠনের দেখভাল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এখন থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন বার ত্রিপুরা সফরে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতা ত্রিপুরায় ঠিক কী কী কাজ করছেন, কী ভাবে কাজ করছেন তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। সংগঠন বিস্তারে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাঁচ নেতার নির্দিষ্ট কর্মসূচিও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতি মাসে অন্তত তিন দিন করে তাঁদের ত্রিপুরার সংগঠনকে সময় দিতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতার এক জনের কথায়, “রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করেই আমাদের ত্রিপুরা পাঠানো হচ্ছে। কী কী কাজ কী ভাবে করতে হবে তা-ও বলে দেওয়া হয়েছে। কাজ করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।”

আপাতত কয়েকটি কাজে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে পাঁচ নেতাকে। আগরতলা এবং ত্রিপুরার অন্যত্র বিজেপি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করাতে হবে। রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাংগঠনিক বৈঠক করতে হবে। নেতাদের তিন দিনের সফরে একটি করে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে। সেখানে বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে হবে।

এর সঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘কী ভাবে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে’ তাও তুলে ধরা হবে ত্রিপুরার মানুষের সামনে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এ ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী জনমুখী প্রকল্প নিয়েছেন, এবং রাজ্যের মানুষকে সরাসরি কি ধরনের পরিষেবা দিয়েছেন, তাও তুলে ধরা হবে।

তৃণমূলের এই পাঁচ নেতার অভিকাংশই বাগ্মী। মলয় বাদে সকলেই সুবক্তা বলে পরিচিত। গোটা মাস জুড়েই যাতে ত্রিপুরার বিজেপি-কে চাপে রাখা এবং ব্যতিব্যস্ত রাখা যায়, সেই লক্ষ্যেই রণনীতি সাজানো হয়েছে। আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা সমীক্ষার কাজে গিয়ে আগরতলায় আটকে পড়ার পরেই, তৃণমূলের ত্রিপুরা-অভিযানের বিযয়টি নজরে আসে। এর পরই ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছিল ব্রাত্য-মলয়-ঋতব্রতকে। পরে অভিষেকের সফরের সময়েও ওই নেতাদের তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল। এর মাঝে ত্রিপুরা ঘুরে এসেছেন কুণাল ঘোষও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Tripura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE