E-Paper

‘পূর্বোদয়ে’ থেকেও নীতি আয়োগকে কটাক্ষ তৃণমূলের

পূর্বোদয়ে অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। তা হলে সমাজ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস নীতি আয়োগকে নিশানা করছে কেন!

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ০৮:৫৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শনিবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেননি। সোমবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের নীতি আয়োগ সংস্থাকে ‘নাথিং ইন দিস ইনস্টিটিউশন’ বলে নিশানা করল। যার অর্থ, এই প্রতিষ্ঠানে কিছুই নেই। বা, এর কোনও মূল্য নেই।

নীতি আয়োগের কর্তারা হতবাক। তাঁদের প্রশ্ন, নীতি আয়োগ মোদী সরকারের বাজেটে ঘোষিত নীতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের পাঁচটি রাজ্যের উন্নয়ন বা ‘পূর্বোদয়’-এর জন্য রূপরেখা তৈরি করছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অংশ নিচ্ছে। এই পূর্বোদয়ে অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। তা হলে সমাজ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস নীতি আয়োগকে নিশানা করছে কেন!

মোদী সরকার ২০২৪-এ তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে জুলাই মাসের প্রথম বাজেটে ‘পূর্বোদয়’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশকে নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য মোদী সরকার ‘পূর্বোদয়’ প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘এই পূর্বোদয়ের রূপরেখা তৈরির জন্য নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে পাঁচটি রাজ্যের শীর্ষ আমলারাও রয়েছেন। রূপরেখা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। জুন মাসেই আমরা তা প্রকাশ করতে চলেছি। এতে কোনও ভুল নেই পশ্চিমের রাজ্যগুলির তুলনায় শিল্পায়নের মাকাঠিতে পূর্বের রাজ্যগুলি ঐতিহাসিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সেই কারণেই পূর্বোদয়ের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’’

সরকারি সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে রমেশ চাঁদ এবং অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক সচিবের সঙ্গে পাঁচটি রাজ্যের বৈঠক হয়েছিল। তাতে বিহার, ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র, ঝাড়খণ্ডের পরিকল্পনা ও শিল্প দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। কী ভাবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়, এই রাজ্যগুলিতে সমৃদ্ধি নিয়ে এসে তার ভোল বদলে দেওয়া যায়, তার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপরে ডিসেম্বর মাসেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বের পাঁচটি রাজ্যের শিল্পমহল, নাগরিক সংগঠন, শিক্ষা জগতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কোথায় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ রয়েছে, তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ বলেন, ‘‘পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে উন্নয়নের জন্য পাঁচটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের খসড়া রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে পাঁচটি রাজ্যকে খসড়া রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। রাজ্যগুলির মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি, ১৪ জুনের মধ্যেও পূর্বোদয় প্রকল্পের রূপরেখা প্রকাশ করা যাবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy