ফাইল চিত্র।
সংসদের পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে মুকুল রায়কে সরিয়ে দিল তৃণমূল। সংসদে দলীয় শক্তির ভিত্তিতে স্থির হয়, কোন দল কতগুলি সংসদীয় কমিটির সদস্যপদ এবং চেয়ারম্যানের পদ পাবে। সদস্য বা চেয়ারম্যান কে হবেন, সেটা স্থির করে দল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বছরখানেক আগে মুকুল রায়কে ওই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি লিখে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদে মুকুল রায়ের পরিবর্তে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে মনোনীত করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলছেন মুকুল।
মনে করা হচ্ছে, এই মুহূর্তে তিনি উভয়সঙ্কটে। তৃণমূল শিবিরের মতে, বিজেপি নেতৃত্বকে মুকুল কথা দেন যে দলের একটি বড় অংশকে তিনি ভাঙিয়ে নিয়ে যাবেন। সেটা হয়নি। এই মুহূর্তে একলা মুকুলকে বিজেপি নিতে চাইছে না অথবা বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছে। অন্য দিকে, তৃণমূল
তাঁকে দলের ভিতরেই ধীরে ধীরে শক্তিহীন করে দিতে চাইছে। তাঁকে দিল্লির রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, পঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এখন সেখানেও মুকুলের জায়গায় উঠে আসছেন তাঁরই এলাকার বিধায়ক অর্জুন সিংহ।
কিছু দিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে মুকুলের প্রাতরাশ বৈঠক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুকুল তখন জানিয়েছিলেন, এই পরিবহণ কমিটির কাজেই তিনি জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আজ তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ (দোলা সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দুশেখর রায় ও মানস ভুঁইয়া) রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে সংসদভবনে উপস্থিত ছিলেন মুকুল। কিন্তু তাঁকে তৃণমূলের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অথবা তৃণমূলের ঘরটিতে আসতে দেখা যায়নি। তৃণমূলের ওই পাঁচ জন ছাড়াও আজ কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য শপথ নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy