বিজেপি শাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে আটকে রাখা হয়েছে পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের। দেশজুড়ে যে বাংলা বিদ্বেষের ঘটনা চলছে, তারই সাম্প্রতিকতম নিদর্শন এই গুরুগ্রাম— আজ সংসদ চত্বরে এই মর্মে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। আর তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কথায়, এখানকার মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন। হিটলারের নাৎসি জার্মানির সঙ্গে এই পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
বিষয়টি কংগ্রেসের সংসদীয় দলেও উঠেছে। যেখানে শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে, আজ সেই সেক্টর ১০-এ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী।
চলতি সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই বাঙালি নিপীড়ন নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরব তৃণমূল। সামিরুলের বক্তব্য, “ওড়িশা, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাংলা ভাষাভাষীর উপর অত্যাচার তো হচ্ছেই, মতুয়া রাজবংশীরাও বাংলায় কথা বললে আটক করা হচ্ছে। তাঁদের সম্পর্কে তথ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলেও অসহযোগিতা করা হচ্ছে। অথচ বাংলায় বিভিন্ন রাজ্যের ২১ লক্ষ ৬৭ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। বাংলায় এ সব ঘটে না।”
পাশাপাশি, দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনি নিয়ে আপাতত স্বস্তি তৃণমূল নেতৃত্ব তথা বঙ্গ সরকারের। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদেরও। দলীয় বিবৃতিতে তৃণমূল জানায়, ‘মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বাঙালিদের উৎখাত করতে চেয়েছিল। সেই অপচেষ্টার জবাব দিয়েছে আদালত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।’ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে ‘অবৈধ বসতি’ বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)