মুম্বইয়ে শরদ পওয়ারের বাড়িতে বৈঠকে তৃণমূলের তিন সাংসদ-সহ অন্যেরা। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ে শরদ পওয়ারের বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে বৈঠক করলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ। বাংলার শাসকদলের তরফে পওয়ারের বাড়ি ‘সিলভার ওক’-এ ওই বৈঠকে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষ। শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও ছিলেন বৈঠকে। যোগ দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার অন্যতম নেতা অরবিন্দ সবন্তও।
পরে শরদ তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন, ‘‘তৃণমূলের সাংসদেরা এসেছিলেন। বুথফেরত সমীক্ষার পর্বে শেয়ার বাজারকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্তের জন্য সেবির কাছে দাবি জানানো হবে। তৃণমূল যে দাবি তুলেছে তার সঙ্গে আমি একমত।’’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ অবশ্য এখনই ওই বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা পওয়ারের বাড়িতে গিয়েছিলেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করতে। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকের বিষয়ে তিন সাংসদ দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেবেন। তার আগে দলীয় শৃঙ্খলা মেনেই তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না।
বৈঠকের পরে মুম্বইয়ের সেবি দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন বিরোধী দলগুলির নেতা, সাংসদেরা। সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন পওয়ার, উদ্ধবের দলের প্রতিনিধিরাও। সেব দফতরের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও প্রদস্
তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথফেরত সমীক্ষার পর থেকেই শেয়ার বাজার দুর্নীতি নিয়ে সরব। তৃণমূলের অভিযোগ, ফাটকা বাজারে বিনিয়োগে উস্কানি দিয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। এ নিয়েই সেবির তদন্ত চায় বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, সেই তদন্তের আওতায় রাখা হোক মোদী-শাহকেও।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ‘ইন্ডিয়া’-ভুক্ত দলগুলি পওয়ারের বাড়ির বৈঠকে থাকলেও কংগ্রেসের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। নির্বাচনের ফলঘোষণার পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরে তিনি দিল্লিতে পৃথক ভাবে বৈঠক করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চড্ডা এবং সঞ্জয় সিংহদের সঙ্গে। তার পরে দিল্লি থেকে মুম্বই গিয়ে উদ্ধবের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠকে ছিলেন উদ্ধবের পুত্র আদিত্য ঠাকরেও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেই ‘দৌত্য’কে জাতীয় রাজনীতিতে অনেকেই ‘ইন্ডিয়া’র সমান্তরাল গোষ্ঠী তৈরির প্রয়াস হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। দেখা গেল, মঙ্গলবার পওয়ারের সঙ্গে বৈঠকেও কংগ্রেসের কেউ রইলেন না।
সূত্রের খবর, তৃণমূল মঙ্গলবারে সেবি দফতরের কর্মসূচিতে পাশে চেয়েছিল পওয়ারের দল এবং উদ্ধবের শিবসেনাকে। শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়েই সেবি দফতরে গেল বাংলার শাসকদল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy