বন্দে মাতরম্ নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত কাল অভিযোগ এনেছিলেন, ১৯৩৭ সালে এই গানের বেশ কিছু স্তবক বাদ দেওয়ার মধ্য দিয়েই দেশভাগের বীজ বপন করা হয়েছিল। তিনি সরাসরি জওহরলাল নেহরু এবং কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। আজ রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলতে উঠে এই অভিযোগের জবাব দেন।
তৃণমূল সাংসদের কথায়, “দেশভাগের প্রথম চেষ্টা ব্রিটিশরা করে বাংলায় ১৯০৫ সালে। কিন্তু বাঙালি তা রুখে দিয়েছিল। এর পর বিভাজন এবং শাসন নীতিকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশরা হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তোলে।” তারই ফসল হিসাবে গড়ে ওঠা এক দিকে মুসলিম লিগ, অন্য দিকে হিন্দু মহাসভার মতো মঞ্চকে দেশভাগের জন্য দায়ী করেছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, “১৯৩৭ সালে প্রথম বার মুসলিম লিগ নেতা জিন্না কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগ তোলেন। তার আগে কখনও বন্দে মাতরম নিয়ে বিরোধী স্বর জিন্নার দিক থেকে শোনা যায়নি। আসল ঘটনা হল, তিনি কংগ্রেসের জনভিত্তিকে ভয় পেয়ে বন্দে মাতরমের বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। কংগ্রেসকে ভাঙতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগটাই ব্রিটিশরা নেয় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ তৈরি করে।”
জাতীয় গান বা জাতীয় সঙ্গীতের স্তবক বাদ দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গোটা বিশ্বেই এমনটাই চলন, আজ দাবি করেছেন সুখেন্দুশেখর। বলেছেন, “ব্রিটিশ, জার্মানি, ফ্রান্স সর্বত্র মূল গানের একটি অংশই গাওয়া হয়। ৫২ সেকেন্ড যার গড় সময়। একে গানের অঙ্গচ্ছেদ বলে না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)