ফাইল চিত্র
সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার থানার লকআপে অভিযুক্ত জামাল হুসেনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, হাই কোর্টে কর্মরত বিচারপতিকে ওই তদন্তের দায়িত্ব দিতে হবে। যদিও বিপ্লব দেব সরকার জামাল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা শুভাশিস বন্দোপাধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করছেন।
শনিবার তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘পুলিশ সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে জামাল হুসেনকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে এনেছে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০১৬ সালের একটি মামলায় জামালকে তুলে আনা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে যদি মামলা থাকে তা হলে পাসপোর্ট দেওয়া হল কী ভাবে?’’
শান্তনুর দাবি, জামালকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশ বলেছিল পরের দিন তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যাবে। আগরতলায় পাঠিয়ে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দল দাবি জানাতেই পারে। সরকার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
পুলিশের দাবি, জামাল হুসেন ডাকাতি ও এনডিপিএস মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী জানান, জামালকে গ্রেফতার করার পরে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এর পরে তাঁকে থানার লকআপে রাখে পুলিশ। তাঁর দাবি, শারীরিক অসুস্থতার ফলেই জামালের মৃত্যু হয়েছে। কারণ সে দিন রাতেই বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে জানান জামাল। পুলিশ তাঁকে ওষুধ দিয়েছিল। পর দিন সকালে লক আপের ভিতরে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। জামালের পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক ছিল না। তিনি অনেক দিন ধরেই দুবাইয়ে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy