আমেরিকায় সে দেশের বিদেশ উপসচিব ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর মধ্যে বৈঠকে উঠে এল আঞ্চলিক শান্তির প্রসঙ্গ। আমেরিকার বিদেশ দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দু’পক্ষই আঞ্চলিক সুস্থিরতা এবং শান্তির প্রশ্নে একমত হয়েছেন। মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের বক্তব্য, ‘‘অন্যের বাজারে সমানভাবে প্রবেশাধিকারের ভিত্তি তৈরি করতে পারলে দু’দেশেরই অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মসৃণ হবে। বৈঠকে এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুই কর্তা। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়বদ্ধতার কথাও তাঁরা বলেছেন।”
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, পহেলগাম কাণ্ডের পর আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এখন অম্লমধুর সম্পর্ক চলছে। এক দিকে, উত্তেজনা প্রশমিত করতে আমেরিকার কর্তারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্য দিকে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় রোজই মনে করিয়ে দিতে চাইছেন, আমেরিকাই মধ্যস্থতাকারী। ট্রাম্পের বাণিজ্যসচিব গতকালই বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তান, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল। গত ১০ মে একটি সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার পরে এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে দু’পক্ষকেই বাণিজ্য করার প্রস্তাব দেওয়ার পরে এই সংঘর্ষবিরতি
সম্ভব হয়।”
এই পরিস্থিতিতে আজ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল ফের জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ওই সময়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্যের বিষয়টি কখনও ওঠেনি। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে গত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি হয় ১০ মে। জায়সওয়াল জানান, “সংঘর্ষ বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত, সামরিক উত্তেজনা নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার সময় শুল্কের বিষয়টি কখনও উঠে আসেনি।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)