কুয়াশা বা ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ফলে মঙ্গলবারেও উত্তর ভারতমুখী সব ট্রেন চলেছে ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে। আর ট্রেনের দেরির জেরে বাড়ছে যাত্রীদের বিড়ম্বনাও। এ দিনও হাওড়া থেকে উত্তরের দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ছাড়া হয়েছে।
সকালে রোদের দেখা মেলেনি দিল্লিতে। ভোরের দিকে ছিল হাল্কা কুয়াশা। কিন্তু ক্রমশই গাঢ় কুয়াশায় ঢেকে যেতে থাকে চার দিক। শীত খুব একটা নেই। কিন্তু দাপট চলছে কুয়াশার। আর তাতেই কমে যাচ্ছে দৃশ্যমানতা। মাঝপথে আটকে যাচ্ছে ট্রেন। চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা।
রেলকর্তাদের একাংশ বলছেন, কুয়াশায় প্রতিদিন ট্রেনের জট পাকিয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের হয়রানি বাড়ছে। ওই সব লাইনের কিছু কিছু ট্রেন অন্যান্য বারের মতো বাতিল না-করলে ভোগান্তি কমবে না। প্রতি বছরই কুয়াশার সময়ে উত্তরমুখী অনেক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। তাতে লাইন অনেকটা ফাঁকা পাওয়া যায়, ট্রেন-জট হয় না। ধীরে চলতে হয় ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। এ বছর এখনও ট্রেন বাতিল করা হয়নি। তাতেই যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে ওই রেলকর্তাদের অভিমত। এক দিকে কুয়াশায় ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে, তার উপরে মোগলসরাইয়ের পরে ট্রেনের জট। দুইয়ের ধাক্কায় নাজেহাল যাত্রীরা।
কুয়াশার দাপটে সোমবার দিল্লি-হাওড়া রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে ছাড়ে। এ দিনও ১৫টি দূরপাল্লার ট্রেনের ছাড়ার সময়সূচি বদল করতে হয়েছে পূর্ব রেলকে। সেই তালিকায় আছে পূর্বা, দুন, হাওড়া-পটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, কালকা মেল-সহ অনেক ট্রেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy