Advertisement
E-Paper

ট্রান্সফর্মার খুলে নিয়ে গেল চোরেরা, ২০ দিন ধরে অন্ধকারে ডুবে উত্তরপ্রদেশের গ্রাম!

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ ডিসেম্বর আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় গোটা গ্রামের। বেশ কিছু ক্ষণ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার পর তাঁদের সন্দেহ হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২১
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পাঁচ হাজার গ্রামবাসী। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পাঁচ হাজার গ্রামবাসী। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চোরেরা খুলে নিয়ে গেল ট্রান্সফর্মার। আর তার জেরেই গত ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অন্ধকারে ডুবে গোটা গ্রাম। উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর সোরাহা গ্রামের ঘটনা। এই চুরির ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার গ্রামবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৫ ডিসেম্বর আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায় গোটা গ্রামের। বেশ কিছু ক্ষণ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার পর তাঁদের সন্দেহ হয়। গ্রামের প্রান্তে বসানো ট্রান্সফর্মারে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সেখানে যেতেই স্তম্ভিত হয়ে যান। কোথায় ট্রান্সফর্মার? সেই জায়গা ফাঁকা পড়ে ছিল। উধাও ট্রান্সফর্মার। শুধু তা-ই নয়, হদিসে মেলেনি বিদ্যুতের বেশ কিছু সরঞ্জামেরও।

এই ঘটনার পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ জানানো হয়ে বিদ্যুৎ দফতরেও। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ট্রান্সফর্মার চুরি হয়ে গিয়েছে জানা পরেও কোনও পদক্ষেপ করেনি বিদ্যুৎ দফতর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ২০ দিনেরও বেশি সময় অন্ধকারে কাটাতে হয় গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, সামনে ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষা। এই ঘটনায় সমস্যায় পড়েছে তারা। এমনকি, চাষের জমিতে জল দেওয়ার কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত ভাবা যায় না যেখানে, এই অবস্থায় ২০ দিনের বেশি সময় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

যদিও বিদ্যুৎ দফতরের পাল্টা দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর অস্থায়ী ভাবে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতের সময়েই ট্রান্সফর্মার চুরি হয় বেশি। এমনই জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার নরেন্দ্র চৌধরি। তাই গ্রামগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Transformer Theft Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy