দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব। অভিযোগ, ‘সিপিএম-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীরা গত কাল গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালায়। বিজেপি সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করে। বিপ্লববাবুকে বাঁচাতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তাঁর দেহরক্ষী। খবর পেয়ে শহরের পশ্চিম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আক্রমণকারীদের অধিকাংশকেই দেহরক্ষী চিনতে পারেননি। বিপ্লব দেবের কথায়, ‘‘আক্রমণকারীদের বেশ কয়েক জন শাসক সিপিএমের কর্মী। অন্ধকারে বাকিদের চেনা যায়নি।’’
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানান, বিপ্লববাবু প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীরা জখম হয়েছেন। চার-পাঁচ জন ‘সিপিএম-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত গত কাল রাত সাড়ে এগারো-বারোটা নাগদ। দুষ্কৃতীরা প্রথমে বিপ্লববাবুর গাড়ির চালককে আঘাত করে। তাঁকে বাঁচাতে দেহরক্ষী এগিয়ে গেলে তাঁকেও আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তার পর ঘরের ভিতরে ঢুকে বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করতে উদ্যত হলে দেহরক্ষী বিপ্লববাবুকে বাঁচাতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি জানান, ‘‘এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
এ দিকে, দলের রাজ্য সভাপতির উপর আক্রমণের প্রতিবাদে আজ দুপুরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারীরা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বাড়ির সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান। মিছিলটি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পুলিশ ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যেতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ানদের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায়।
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিকের দাবি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছ’জন দলীয় কর্মী জখম হয়েছেন। রাজ্য সভাপতির উপর আক্রমণের ঘটনা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকেও জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি, পুলিশ সুপার জানান, ‘‘বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে তিন টিএসআর জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy