তেরো মাসের মধ্যেই ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূলের অস্তিত্ব মুছে দিচ্ছেন সুদীপ রায়বর্মন-আশিস সাহারা। তৃণমূলের ছ’জন বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। তার পরেই ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদার দাবি জানাবে বিজেপি। আগামী বছর ভোট। তার আগে বিধানসভায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি।
আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আশিস সাহা। তৃণমূল পরিষদীয় দলনেতার পদ ছাড়লেন দিবাচন্দ্র রাংখল। এ দিনই আগরতলায় ‘তৃণমূলের অফিস’-এ এক বৈঠকের পর তাঁরা কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। আশিসবাবু জানান, আগামী কাল তাঁদের ছয় বিধায়ক গুয়াহাটি যাবেন। সেখানে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের প্রচারসভায় উপস্থিত থাকবেন। পরে সুদীপ রায়বর্মন বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা রাম মাধব ও হিমন্তবিশ্ব শর্মা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: নীতীশকে ঠেকাতে উদ্যোগী রাহুল
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা কোবিন্দজিকেই সমর্থন জানাব। সিপিএমের সঙ্গে এক মঞ্চে গিয়ে ভোট দেব না।’’ বিজেপিতে কবে যোগ দিচ্ছেন? সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন মিটে যাক।’’
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম গাঁটছড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ছাড়েন ছয় বিধায়ক—সুদীপ রায়বর্মন, আশিস সাহা, দিবাচন্দ্র রাংখল, প্রাণজিৎ সিংহরায়, বিশ্ববন্ধু সেন এবং দিলীপ সরকার। সুদীপবাবুদের হাত ধরেই বিধানসভায় তৃণমূল প্রথম খাতা খোলে। সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল এ বার সিপিএমের সঙ্গে এক মঞ্চে!’’ তাঁরা এর প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের ত্রিপুরা ইউনিটের সঙ্গে ‘সম্পর্ক ছিন্ন’ করার কথা ঘোষণা করেন। সুদীপবাবুর কথায়, ‘‘আমরা গরু-ছাগল নই। দলের কোর কমিটি বৈঠকে গিয়ে দেখেছি তৃণমূলনেত্রী সকলের সঙ্গে এমন ব্যবহারই করেন।’’ সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘ এ বার ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাইনবোর্ডটাও তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’
সিপিএম কিন্তু বিজেপির ‘পরিকল্পনায়’ চিন্তিত। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের মুখপাত্র গৌতম দাস বলেন, ‘‘বিজেপি পিছনের দরজা দিয়ে বিধানসভায় ঢুকছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy