ভিডিয়োর স্ক্রিন গ্র্যাব। সৌজন্যে টুইটার
কাশ্মীরিদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হিংসার ঘটনা আরও বেশি চোখে পড়ছে পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই। কখনও চিকিৎসক, কখনও দেহরাদূনের পড়ুয়া, কখনও বা নিরীহ শাল বিক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র জন্মসূত্রে কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল যোগী রাজ্য লখনউয়েও।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের ডালিগঞ্জে দুই ফল বিক্রেতাকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণপন্থী সংগঠনের জনা কয়েক সদস্য আচমকাই চড়াও হয় ওই দুই ফল বিক্রেতার উপর। তাঁদের মারধর করতে শুরু করে।
ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিয়োতে অভিযুক্তকে বলতেও শোনা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র কাশ্মীরি হওয়ার জন্যই মার খেতে হচ্ছে তাঁদের। লাঠি দিয়ে বারবার মারায় রক্তাক্ত হন ওই দুই ব্যক্তি। তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরাই উদ্ধার করেন ওই দুই ব্যক্তিকে।
Nothing will do more damage to the idea of India in J&K than videos like these. Keep thrashing Kashmiris like this on the streets at the hands of RSS/Bajrang Dal goons & then try to sell the idea of “atoot ang”, it simply wont fly. https://t.co/MYkuEuDLjj
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) March 7, 2019
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া রঙের পোশাক পরা দুই ব্যক্তি, কাশ্মীরের দুই ‘ড্রাই ফ্রুট’ বিক্রেতাকে এসে লাঠি দিয়ে মাথায় মারছেন। দুই ব্যক্তি মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: বালাকোটের উপগ্রহ চিত্রে সংশয়, প্রমাণ চায় পুলওয়ামা হামলায় নিহতদের পরিবার
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই টুইট প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগও করেছেন তিনি। পুলিশ এসে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। শান্তিভঙ্গের অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিও বিশ্ব হিন্দু দলের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। তিনিই ফেসবুকে ওই নিগ্রহের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে পরে সেই ভিডিয়ো তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যস্থতার পথে ক্ষতে মলম চায় কোর্ট
দেশের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্র থেকে কড়া নির্দেশিকা জারি করা সত্ত্বেও কী ভাবে এই জাতীয় ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলওয়ামা হামলার পরই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলওয়ামা জঙ্গি হানার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রদের হেনস্থা, মারধরের খবর আসছে। সেই কারণে এই একটি নির্দেশ জারি করেছে স্বরাষ্টমন্ত্রক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy