Advertisement
০২ মে ২০২৪
Rajnath Singh

‘বিজেপি ক্ষমতায় এলেই কড়া দাওয়াই ধর্মান্তরণ রুখতে’! ছত্তীসগঢ়ে কাদের নিশানা করলেন রাজনাথ?

দীর্ঘ দিন ধরেই সঙ্ঘ পরিবার ধর্মান্তরণ ঠেকাতে জাতীয় স্তরে কড়া আইনের দাবিতে সরব। যাঁরা ধর্মান্তরিত হয়েছেন, তাঁরা যাতে সংরক্ষণের সুবিধা না পান, সে জন্যও সওয়াল করেছে সঙ্ঘ।

ছত্তীসগঢ়ে ভোটের প্রচারে রাজনাথ সিংহ।

ছত্তীসগঢ়ে ভোটের প্রচারে রাজনাথ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
রায়পুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৮
Share: Save:

ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে কড়া দাওয়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজনাথ সিংহ। শনিবার সীতাপুরে দলের প্রচারসভায় তাঁর অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকারের জমানায় ছত্তীসগঢ়ে আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ এবং মাওবাদী উপদ্রব বেড়েছে।

রাজনাথ শনিবার বিজেপির সভায় বলেন, ‘‘ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসীদের জোর করে এবং প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরণের চেষ্টা চলছে ধারাবাহিক ভাবে। তা বন্ধ করতে রাজ্য সরকার কোনও সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না।’’ সরাসরি কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠী বা সংগঠনের নাম না-করলেও এ ক্ষেত্রে রাজনাথ ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে ‘সক্রিয়’ খ্রিস্টান মিশনারিদের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি বিরোধী শিবিরের।

দীর্ঘ দিন ধরেই সঙ্ঘ পরিবার ধর্মান্তরণ ঠেকাতে জাতীয় স্তরে কড়া আইনের দাবিতে সরব। একই সঙ্গে তফসিলি জাতি এবং জনজাতি জনগোষ্ঠীর যাঁরা ধর্মান্তরিত হয়েছেন, তাঁরা যাতে সংরক্ষণের সুবিধা না পান, সে জন্যও সওয়াল করেছে সঙ্ঘ। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণের নেতৃত্বাধীন কমিটির উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্ম নেওয়া লোকেদের তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য থাকা সুবিধা পাওয়া উচিত কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। অন্য ধর্ম নেওয়া লোকেদের সংরক্ষণের সুবিধা না-দেওয়ার জন্য কিছু দিন আগে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবোলে। এমনকী, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ সংগঠনের মদতে খ্রিস্টান মিশনারিদের উপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে অতীতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE