পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এ বার থেকে মূলত দু’টি হারে (৫, ১৮) জিএসটি কার্যকর হবে। এর পাশাপাশি, বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যক্তিগত বিমান, বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইক এবং ‘পাপের পণ্যে’ (সিগারেট, পানমশলা, জর্দা, গুটখার মতো তামাকজাত সামগ্রী এবং ‘শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নরম পানীয়’ রয়েছে এই তালিকায়) ৪০ শতাংশ কর বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সিগারেট, গুটখার মতো তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জিএসটির নতুন হার কার্যকর হবে। কিন্তু তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, তামাকজাত পণ্যে এখনই তেমন সম্ভাবনা নেই। তার কারণ, অতিমারি পর্বের মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারগুলির তরফে নেওয়া ক্ষতিপূরণ ঋণ! বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তামাকজাত পণ্যের উপর ২৮ শতাংশ ‘ক্ষতিপূরণ সেস’ বসিয়ে অতিমারি-পর্বে নেওয়া ঋণ পরিশোধের অর্থের সংস্থান করে।
ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এই বন্দোবস্তই চলবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। তিনি বলেন, ‘‘তামাকজাত পণ্যগুলির উপর বিদ্যমান জিএসটি এবং ক্ষতিপূরণ সেসের হার অব্যাহত থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিপূরণ সেস অ্যাকাউন্টের অধীনে ঋণ এবং সুদ পরিশোধের পর্ব সমাপ্ত হয়, এমনটাই চলবে।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘ঋণ পরিশোধের পরে কোনও সেস থাকবে না। যে পণ্যগুলিতে ক্ষতিপূরণ সেস বসানো হয়েছিল সেগুলির উপর ৪০ শতাংশ ‘বিশেষ হারে কর’ (আদতে যা জিএসটি) আরোপ করা হবে।’’ তবে সে ক্ষেত্রেও বিড়ির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। কারণ, তামাকের দাম বাড়ানো হলেও নতুন ব্যবস্থায় বিড়ির অন্যতম উপাদান কেন্দুপাতার উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।