E-Paper

পুলিশের নিয়োগ মঞ্চ থেকে শাহের সাফল্যের হুঙ্কার

এগারো বছর আগে ক্ষমতায় আসার আগে বছরে দু’কোটি চাকরি তৈরির আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। বিরোধীদের বক্তব্য, বছরে দু’কোটি চাকরি তো হয়ইনি, উল্টে ধারাবাহিক ভাবে কমেছে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ০৮:৪০
অমিত শাহ।

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

যোগ্য প্রার্থীদের হাতে আজ উত্তরপ্রদেশের সিভিল পুলিশ নিয়োগের পত্র তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা দেখে বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্র চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ বার রাজ্যের চাকরি কেন্দ্রের সাফল্য বলে হাতিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে নরেন্দ্রমোদী সরকার।

এগারো বছর আগে ক্ষমতায় আসার আগে বছরে দু’কোটি চাকরি তৈরির আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। বিরোধীদের বক্তব্য, বছরে দু’কোটি চাকরি তো হয়ইনি, উল্টে ধারাবাহিক ভাবে কমেছে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বেকারত্ব নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিল বিরোধী নেতৃত্ব। তার পর থেকেই ঘটা করে চাকরি বিতরণ মেলার আয়োজন করা শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ উত্তরপ্রদেশে এমনই এক চাকরি বিতরণ মঞ্চে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই মঞ্চ থেকে উত্তরপ্রদেশের ৬০,২৪৪ সিভিল পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশকে আধুনিক করে তুলতে তৎপর রয়েছে মোদী সরকার।’’ ওই নিয়োগ উত্তরপ্রদেশ তথা দেশের পুলিশ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজ্য সরকারের ওই নিয়োগকে কেন্দ্রের সাফল্য বলে অমিত শাহ যে প্রচ্ছন্ন দাবি করেছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘কেন্দ্র সরকারি নিয়োগ দিতে ব্যর্থ। সেই কারণে বিজেপিশাসিত রাজ্য সরকারের নিয়োগকে এখন নিজেদের সাফল্য বলে তুলে ধরতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, এ সব লোক দেখানো পদক্ষেপ ছেড়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে যে লক্ষ-লক্ষ শূন্য পদ খালি রয়েছে, তাতে নিয়োগ নিশ্চিত করা। তবেই বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।’’

আজ নিজের বক্তব্যে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে যদি ফের হামলা চালায়, তা হলে তার ফল ভুগতে হবে পাকিস্তানকে। আজ লখনউয়ের মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘‘উরি সেনাছাউনিতে হামলা চালানো হলে প্রত্যাঘাতে ভারত সার্জিকাল স্ট্রাইক করে। পুলওয়ামার হামলার পরে আকাশ পথে বালাকোটে হামলা চালানো হয়। আর এ বার পহেলগামে হামলার পরে জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, ভারতীয়দের রক্ত সস্তা নয়। কেউ যদি হামলা করার চেষ্টা করে, তা হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’’ পাশাপাশি কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলে অমিত বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলে জঙ্গি হামলা নিত্যকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দিল্লি, আমদাবাদ, কোয়ম্বত্তূর, জয়পুর, কাশ্মীর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। সেগুলো থামাতে ব্যর্থ হয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।’’

সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার পাশাপাশি আগামী বছর মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদেরও নিকেশ করে ফেলা হবে বলে দাবি করেছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এগারো বছর আগে বিজেপি যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ১১টি রাজ্যে মাওবাদীদের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু এখন মাওবাদীদের উপস্থিতি রয়েছে কেবল দেশের তিনটি জেলায়। মাওবাদী সমস্যা দমনে উল্লেখজনক সাফল্য পেয়েছে সরকার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Amit Shah BJP Uttar Pradesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy