শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০২৭ সালে ফের জনগণনা হতে চলেছে দেশে। তার আগে আসন্ন জনগণনার যাবতীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রবিবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের আদমশুমারি কমিশনার (আরজিসিসিআই) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণ-সহ বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাহ। সেখানেই আসন্ন আদমশুমারির প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আসন্ন জনগণনার বিষয়ে সোমবারই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার কথা। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন শাহ।
আরও পড়ুন:
২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ওই সময় লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা তুষারাবৃত থাকে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬-এর অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। যদিও সরকারি রীতি অনুযায়ী ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। অথচ শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই হিসাবে ২০২১ সালে নতুন জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সে সময় জনগণনা করা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে এত দিন পর্যন্তও জনগণনা থমকেই ছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এটিই হবে মোদী জমানার প্রথম জনগণনা। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, পুরো প্রক্রিয়াটি দু’টি পর্যায়ে সারা হবে। ঘটনাচক্রে, গত মাসেই জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যও এ বারের জনগণনা পর্বে সংগ্রহ করা হবে বলে ওই সূত্রের দাবি। ২০২৮ সালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে।