গোষ্ঠী-সংঘর্ষের জেরে সমস্তীপুরের দুই বিজেপি নেতা-সহ বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে আজ প্রায় ৫০ জনকে আটক বা গ্রেফতার করল পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই বিহারের নালন্দা, সমস্তীপুর, শেখপুরা, ভাগলপুর প্রভৃতি জেলায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দু’টি গোষ্ঠী। এ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ১৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংঘর্ষ ঘিরে ছড়াচ্ছে নানা গুজব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কোথাও রাত-কার্ফু, কোথাও টানা কয়েক দিনে সব জমায়েত বন্ধ করতে ১৪৪ ধারা। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় প্রচুর পুলিশ। বিভিন্ন জেলায় ঘাঁটি গেড়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘বন্দি’ লালুপ্রসাদও। রাঁচীর হাসপাতাল থেকে অসুস্থ লালুকে নিয়ে পুলিশ আজ দিল্লির এইমস-এ পৌঁছয়। সেখানে ঢোকার পথে লালু বলেন, ‘‘আমাকে বন্দি করে বিজেপি বিহারকে ছারখার করে দিচ্ছে। নীতীশ কুমার শেষ হয়ে গিয়েছেন।’’ পটনায় আরজেডি-নেত্রী রাবড়ী দেবী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আরএসএসের নির্দেশ মেনে সরকার চালাচ্ছেন।’’ শাসক জোট বিজেপি বা জেডিইউ নেতৃত্ব মুখ খোলেননি।
সমস্তীপুরে স্থানীয় দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও, ভাগলপুর আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অর্জিত শাশ্বত। গোলমাল পাকানোর অভিযোগে নিম্ন আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আজ সেই পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করে শাশ্বত পটনা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের আবেদনও তিনি জানিয়েছেন। পরে শাশ্বত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আত্মগোপন করলেই পরোয়ানা জারি হয়। আমি তো প্রকাশ্যেই ঘুরছি, ফিরছি। তবে আমি আত্মসমর্পণ করব না।’’ প্রশ্ন এখানেই, আদালতের পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও শাশ্বতকে নীতীশ কুমারের পুলিশ কেন গ্রেফতার করছে না? বলা হচ্ছে, তাঁকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক পুলিশ কর্তার বক্তব্য, তাতে ভাগলপুরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। কৌশলগত কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy