Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Elephant Foot disease

হাতের এক একটা আঙুল এক ফুট লম্বা! বিপন্ন শৈশব

ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী, তারিকের বাবা মারা গিয়েছেন বেশ কিছু দিন। এখন কাকার সংসারে ঠাঁই হয়েছে তার। কাকার সঙ্গে একটা ছোট চায়ের দোকানে কাজ করে কোনও মতে সংসার চলে। তাই এই অদ্ভুত অসুখের চিকিত্সা হবে কী ভাবে! এ দিকে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ তারিকের ধারে-কাছেও আসে না। সকলেই তাকে দেখে ভয় পায়।

চিকিৎসকদের ধারণা, তারিক হয়তো ‘এলিফ্যান্ট ফুট’ রোগের শিকার।

চিকিৎসকদের ধারণা, তারিক হয়তো ‘এলিফ্যান্ট ফুট’ রোগের শিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ১৬:০৭
Share: Save:

কথা প্রসঙ্গে আমরা অনেকেই বলে থাকি, ‘হাতের পাঁচটা আঙুল তো আর সমান হয় না!’ কিন্তু তাই বলে হাতের এক একটা আঙুল প্রায় এক ফুট লম্বা!

উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বছর বারোর কিশোর তারিকের দু’হাতের তিনটি করে আঙুল প্রায় এক ফুট লম্বা! জন্ম থেকেই তার দু’হাতের ছ’টি আঙুল অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। কিন্তু, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুন: অক্সিজেন নিয়ে দুর্নীতি চক্রের হদিস গোরক্ষপুরে

ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী, তারিকের বাবা মারা গিয়েছেন বেশ কিছু দিন। এখন কাকার সংসারে ঠাঁই হয়েছে তার। কাকার সঙ্গে একটা ছোট চায়ের দোকানে কাজ করে কোনও মতে সংসার চলে। তাই এই অদ্ভুত অসুখের চিকিত্সা হবে কী ভাবে! এ দিকে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ তারিকের ধারে-কাছেও আসে না। সকলেই তাকে দেখে ভয় পায়। গ্রামবাসীদের ধারণা, কোনও অভিশাপে তারিকের হাতের আঙুলগুলি এমন হয়ে গিয়েছে। তাই, গ্রামবাসীদের কাছে সে ‘শয়তান’। ওই কিশোরের সমস্যার এখানেই শেষ নয়। অস্বাভাবিক আঙুলের জন্য গ্রামের কোনও স্কুলই তাকে ভর্তি নিতে রাজি চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে, তারিকের আঙুল দেখে স্কুলের অন্য বাচ্চারা ভয় পেতে পারে!


কাকার সঙ্গে তারিক।

তারিকের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তারিকের বাবা বেঁচে থাকতে অনেক বারই স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। চিকিৎসকদের ধারণা, তারিক হয়তো ‘এলিফ্যান্ট ফুট’ রোগের শিকার। চিকিত্সকেরা সকলেই বলেছেন, এই রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি। সে জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু উপায় কী? চায়ের দোকানের সামান্য মাইনে দিয়ে দু’বেলার খোরাকও জোটে না ভাল করে। সেখানে চিকিৎসার খরচ জুটবে কোত্থেকে!

আরও পড়ুন: কোপে ‘নায়ক’ ডাক্তারই

অসুখ, দারিদ্র আর গ্রামবাসীদের কুসংস্কারের চাপে শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে তারিকের। দিনের পর দিন প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে সে। এক গ্লাস জল পর্যন্ত মুখে তুলে খেতে রীতিমতো কসরত করতে হয় তাকে। তবে এত কিছুর পরও হাল ছাড়তে নারাজ এই কিশোর। ‘অভিশাপ’ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন দেখে সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE