দেশ থেকে বিদেশ, কাতারে কাতারে ভক্ত সমাগম হয়েছে মহাকুম্ভে। এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটির বেশি মানুষ কুম্ভে পুণ্যস্নান করেছেন। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে জানাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দাবি, মানব ইতিহাসে এত সংখ্যক মানুষের সমাগম কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে হয়নি। বস্তুত, ভারত এবং চিন ব্যতীত যে কোনও দেশের জনসংখ্যার বেশি মানুষ জড়ো হয়েছেন কুম্ভে। যা ‘রেকর্ড’ বলে দাবি।
প্রতি ১২ বছর অন্তর কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। চলতি বছরে মেলা শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে। চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় যত পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে প্রশাসন আশা করেছিল, ইতিমধ্যেই তা ছাপিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নান করে গিয়েছেন ৫০ কোটির বেশি পুণ্যার্থী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অংশগ্রহণ মানব ইতিহাসের যে কোনও ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এ পর্যন্ত কুম্ভে যত মানুষ পা দিয়েছেন, তা ভারত এবং চিন ছাড়া অন্য যে কোনও দেশের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্ট এবং বার দুয়েক অগ্নিকাণ্ড ছাড়া এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে মেলা হয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিদেশ থেকেও প্রতি দিন প্রচুর পুণ্যার্থী আসছেন কুম্ভে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বলছে, শুধুমাত্র শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯২ লক্ষ পুণ্যার্থী মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট সংখ্যা আনুমানিক ৫০ কোটি। সে রাজ্যের সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘আমেরিকা, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজ়িল, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেরও এত জনসংখ্যা নেই, যত সংখ্যক মানুষ সনাতন ধর্মের উৎসবে শামিল হয়েছেন এবং পুণ্যস্নান করেছেন।’’
আরও পড়ুন:
আমেরিকার শেষ জনশুমারি অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম দশটি জনবহুল দেশ হিসাবে প্রথম ভারত। তার পর রয়েছে, চিন, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, ব্রাজ়িল, বাংলাদেশ, রাশিয়া এবং মেক্সিকো। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, কুম্ভমেলা শুরুর আগে তারা ভেবেছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি পুণ্যার্থী জড়ো হবেন। কিন্তু সমস্ত হিসাব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে গত ২৯ জানুয়ারি। ওই দিনটি ছিল মৌনী অমাবস্যা। সে দিন আট কোটি পুণ্যার্থী কুম্ভস্নান করেছেন।