মিড ডে মিলের এই ছবিই ভাইরাল হয়েছে। ফাইল চিত্র।
স্কুলপড়ুয়াদের মিড ডে মিলে রুটি আর নুন খেতে দেওয়া হচ্ছে! আর সেই ছবি তোলার অভিযোগে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক সরকারি স্কুলে বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ুয়াদের পাতে শুকনো রুটি আর সব্জির বদলে শুধু নুন দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবরটা পেয়েছিলেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। তিনি ঘটনাটির ভিডিয়ো ও ছবি তোলেন। তার পরই সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। মিড ডে মিল নিয়ে যখন কেন্দ্র নানা রকম পদক্ষেপ করেছে যোগী সরকার, ঠিক সেই সময়েই রাজ্যের একটি স্কুলের এমন ছবি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। স্কুলে মিড ডে মিলের ছবি তোলার অভিযোগে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলেরও চেষ্টা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মির্জাপুরের ব্লক শিক্ষা আধিকারিক পবন জয়সওয়াল পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে পাল্টা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, সরকারকে বদনাম করতেই এ ধরনের ছবি ছড়ানো হচ্ছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যে দিন ভিডিয়োটি তোলা হয় সে দিন স্কুলেই রুটি বানানো হয়েছিল। সবজির ব্যবস্থা করার কথা ছিল গ্রাম প্রধানের। কিন্তু তিনি তা না করে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ডেকে এনে ভিডিয়ো শুট করান। পঞ্চায়েত প্রধান এবং ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: দফায় দফায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, বিজেপির বন্ধ ঘিরে উত্তেজনা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে
আরও পড়ুন: চাঁদে নামার প্রস্তুতি শুরু, দেড় মাসের মাথায় চন্দ্রযান-২ থেকে আলাদা হল বিক্রম ল্যান্ডার
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে পড়ুয়াদের ঠিক মতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না এমনটাই জানানো হয়েছিল ব্লক শিক্ষা আধিকারিক পবন জয়সওয়ালকে। তাঁদের আরও দাবি, ওই আধিকারিককে এমনও বলা হয়েছিল যে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের শুধু রুটি আর নুন দেওয়া হচ্ছে। কখনও বা শুধু ভাত আর নুন দেওয়া হয়। দুধ, কলা-সহ পুষ্টিকর খাবার এলেও সেগুলো দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। মির্জাপুরের এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক বলেন, “এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিদর্শকের ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে। দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy