—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিদ্যুতের জন্য বিল এসেছিল পাঁচ হাজার টাকার কাছাকাছি। প্রতি মাসের মতো এ বারেও সেই টাকা বিদ্যুতের অফিসে জমা দিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু হাতে যে রসিদ পেলেন, তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। বিলের অঙ্ক পাঁচ হাজার নয়, ছিল ১৯৭ কোটি টাকা!
উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা চোহারি দেবী। গত মাসে তাঁর নামে বিদ্যুতের খরচ বাবদ বিল এসেছিল ৪,৯৫০ টাকা। মহিলার পুত্র নিজে সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে সেই টাকা জমা দিয়ে এসেছিলেন। পেয়েছিলেন উপযুক্ত রসিদ। পরে সেই রসিদ নিয়ে যে এত বড় শোরগোল হবে, তাঁরা কেউ আন্দাজ করতে পারেননি।
টাকা জমা দিয়ে রসিদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখেননি যুবক। পরে বিদ্যুতের অফিস থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন তিনি খেয়াল করে দেখেন, রসিদে লেখা আছে যে, তিনি বিদ্যুতের খরচ বাবদ জমা দিয়েছেন ১৯৭ কোটি টাকা।
কী ভাবে এই গোলমাল হল? তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের টাকা জমা নিয়ে রসিদ তৈরি করা যাঁর দায়িত্বে ছিল, ভুলটা তিনিই করেছেন। টাকার অঙ্কের জায়গায় তিনি ভুল করে গ্রাহকের নম্বরটি লিখে ফেলেছিলেন। ১৯৭-এর পরে তাতে ছিল আরও সাতটি সংখ্যা। যার অর্থ দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি টাকার বেশি।
এই রসিদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে ব্যাপক শোরগোল হয়। শেষ পর্যন্ত রসিদটি বাতিল করে দেন কর্তৃপক্ষ। পরে ভুল শুধরে নতুন করে রসিদ দেওয়া হয় মহিলাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy