ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চান বলদেব কুমার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ভারতের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক মহলে গলা ফাটাচ্ছে পাকিস্তান। এ বার ইমরান খান সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন তাঁর দলেরই এক প্রাক্তন এমএলএ। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার নির্যাতন চালানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিরই প্রাক্তন এমএলএ বলদেব কুমার। সোমবারই পাকিস্তান থেকে সপরিবারে দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। আর সে দেশে ফিরতে চান না পিটিআই-এর ওই নেতা। বদলে ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন তিনি।
বলদেব কুমারের দাবি, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দারুণ খারাপ ব্যবহার করে প্রশাসন। এরপরই পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন ইমরানের দলেরই ওই নেতা। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানে রোজ হিন্দু ও শিখদের খুন করা হচ্ছে।’’ খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের বারিকোট এলাকার বিধায়ক ছিলেন বলদেব। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে এক এমএলএ-কে খুনের ঘটনায় মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এই প্রথম নয়, আগেও পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বহু বার। ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া বহু মানুষ ও বালোচরা বার বার পাক নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও ওঠে। ইমরান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন সে দেশের মানবাধিকার কমিশনও। গত বছর তাদের বার্ষিক রিপোর্টে শুধুমাত্র দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশেই হিন্দু ও খ্রিস্টান তরুণীকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা ও বিয়ের প্রায় হাজার খানেক ঘটনা তুলে ধরে তারা। তার প্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসে সিন্ধ আইনসভায় হিন্দু তরুণীদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে ঠেকাতে সর্বসম্মত ভাবে একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়। তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এ বার বলদেবের অভিযোগ পাক প্রশাসনকে ফের কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের রেহাই
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁল আফগানরা, কী সেই রেকর্ড? দেখে নেওয়া যাক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy